সান নিউজ ডেস্ক: খুলনার কয়রায় সুন্দরবন সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ১৪/১ নম্বর পোল্ডারের চরামুখা এলাকায় কপোতাক্ষ নদের তীরবর্তী বাঁধের প্রায় ৩০০ মিটার ভেঙে গেছে। এতে জোয়ারে পানি ঢুকতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: বেশি দামে প্যারাসিটামল বিক্রি
রোববার (১৭ জুলাই) ভোরে নদীতে ভাটার সময় এ ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে দক্ষিণ বেদকাশী এলাকায় বাঁধে ব্যাপক ফাটল দেখা দিয়েছে। নদীতে চলে গেছে বাঁধের দুই-তৃতীয়াংশ। এতে অন্তত পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়ে গেছে। সেইসঙ্গে প্রায় আড়াই হাজার বিঘার চিংড়ির ঘের ক্ষতির মুখে পড়েছে।
গ্রামবাসী জানায়, দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের চরামুখা কানের গোড়ায় দীর্ঘদিন ধরে ওই স্থানের বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল। বাঁধ রক্ষায় স্থানীয় মানুষ গত কয়েকদিন স্বেচ্ছায় কাজ করেছে। শেষ পর্যন্ত তা রক্ষা করা সম্ভব হয়নি। রোববার ভোর রাতে বাঁধটি ভেঙে যায়। বেড়িবাঁধের অর্ধেকের বেশি কপোতাক্ষ নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। রোববার ভোরের দিকে বাঁধ ভেঙে নদীতে চলে যায়। যেকোনো সময় বাঁধ পুরোপুরি ভেঙে গিয়ে তলিয়ে যেতে পারে ১৪টি গ্রাম।
আরও পড়ুন: আমরা হলাম রেফারি
স্থানীয় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ওসমান গনি বলেন, ভোরে ভাটার সময় বেড়িবাঁধ ভেঙেছে। ওয়াবদায় বেড়ি বাঁধের কাজ চলছিল। হঠাৎ করে নদী ভাঙনে বেড়িবাঁধ ভেঙে গেছে। জোয়ারের সময় যেভাবে পানি ডুকবে তাতে বেদকাশি ইউনিয়নের ১৪ গ্রাম তলিয়ে যাবে। ১৪ গ্রামে প্রায় ৩০ হাজার মানুষ বসবাস করে।
অন্যদিকে, দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আছের আলী মোড়ল জানান, বাঁধের ভেঙে যাওয়া স্থান দ্রুত মেরামত করা না হলে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতির মুখে পড়বে মানুষজন। জরুরি ভিত্তিতে বাঁধটি মেরামতের দাবি জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সেই কলেজছাত্র গ্রেফতার
এ ব্যাপারে পাউবোর উপ-সহকারী প্রকৌশলী মশিউল আবেদীন বলেন, বাঁধটি যে পরিমাণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, চাইলেও দ্রুত মেরামত সম্ভব নয়। নদীতে জোয়ারের তীব্রতা কমলে কাজ করা সম্ভব হবে।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অনিমেষ বিশ্বাস জানান, প্লাবিত এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতায় স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে দ্রুত বাঁধ মেরামতের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
সান নিউজ/কেএমএল