শফিক স্বপন, মাদারীপুর: চারদিকে নতুন করে আবার বেড়েই চলেছে করোনার প্রাদুর্ভাব। এর মধ্যেই দেখা দিয়েছে মৌসুমি সর্দি-জ্বর-হাঁচি-কাশি। সব মিলিয়ে মাদারীপুরের ঘরে ঘরে কোন না কোন ভাবে জ্বর ও জ্বরের প্রাদুর্ভাব চলছে। এ অবস্থায় দেখা দিয়েছে প্যারাসিটামল ট্যাবলেটের চাহিদা। আর এ সুযোগে মাদারীপুরে তৈরি করা হয়েছে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের সংকট।
আরও পড়ুন: উইন্ডিজকে বাংলাওয়াশ করলো টাইগাররা
ওষুধ মার্কেট ও ক্রেতা-বিক্রেতা মাধ্যমে জানা যায়, মাদারীপুর সদর, কালকিনি, শিবচর, রাজৈর ও ডাসার উপজেলা ওষুধ মার্কেটগুলোতে ব্যাপক প্যারাসিটামল চাহিদা রয়েছে। কিন্তু কোন দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না নাপা ৫০০, নাপা এক্সটেন্ট ও নাপা এক্সট্রা, এইচ ৫০০, এইচ এক্সআর, এইচ প্লাস ও এইচ পাওয়ার, রেনোভা–৫০০, রেনোভা এক্সআর ও রেনোভা প্লাস এবং এক্সপা, এক্সআর ট্যাবলেট, সিরাপ ও সাপোজেটরি। রাতারাতি হাওয়া হয়ে গেছে খুচরা ও পাইকারী দোকান থেকে।
এক রোগীর অভিভাবক লিমা বেগম বলেন, আমার বাচ্চার জন্য জ্বরের ওষুধ কিনতে গিয়ে কোন দোকানে পাইনি। কেন পাচ্ছি না জানতে চাইলে জানতে পারি কয়েক দিনের মধ্যে প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধের মূল্য বাড়ানো হবে। এ কথা জেনে বিক্রেতারা ওষুধ মজুদ করছেন এবং সংকট দেখিয়ে অধিক দামে বিক্রি করছেন তারা।
আরও পড়ুন: আগামী জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু হবে
মাদারীপুর পৌরসভা শহরেরর সুমন হোটেল এলাকার আলিফ ফার্মেসির মালিক আবুল কালাম আজাদ জানান, অধিক মূল্য দিয়ে ক্রেতারা নাপা কিনতে চাচ্ছে। কিন্তু সরবরাহ না থাকায় বিক্রি করা যাচ্ছে না।
মজিদ বাড়ি ভূরঘাটা বরিশাল মেডিকেল হল ফার্মেসির মালিক জুয়েল সরদার বলেন, পাইকারি দোকান ও কোম্পানি প্রতিনিধিরা ওষুধ সরবরাহ করছে না। পাইকারদের কাছ থেকে বেশি দামে ওষুধ কিনতে হচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ বাজারে যাতে পর্যাপ্ত ওষুধ পাওয়া যায়। তার ব্যবস্থা করার জন্য।
আরও পড়ুন: টি-টোয়েন্টি থেকে অবসরের ঘোষণা
গ্রাম্য ডাক্তার সৈয়দ শুকুর মাহমুদ সুজন জানান, সব ঘরে ঠান্ডা কাশি রোগী বেশি দেখা দিচ্ছে। ঘরে এক জনের হলে সবার হচ্ছে আমরা প্যারাসিটামল ওষুধ লিখছি। কিন্তু রোগীরা পাচ্ছেন না। তারা হয়রানি হচ্ছেন।
বাংলাদেশ ড্রাগ এন্ড কেমিস্ট মাদারীপুর জেলা শাখার সদস্য ও গোপালপুর গীতা ফার্মেসির মালিক তপন কুমার সরকার বলেন, অনেক দিন থেকেই বাজারে প্যারাসিটামলের সরবরাহ নাই। আমাদের কাছে যা যা ছিল তা ফার্মাসিস্টদের দিয়েছি। শুধু প্যারাসিটামল না অনেক পণ্য সংকট করে রেখে দাম বাড়াচ্ছে কোম্পানিগুলো। এ কারণে হাতের নাগালে ওষুধ পাচ্ছেন না রোগীরা। তবে আমরা বেশি দাম নিচ্ছি না।
আরও পড়ুন: অভিমানে গৃহবধূর আত্মহত্যা
মাদারীপুর পৌরসভার মেডিকেল অফিসার ডাঃ হরষিত বিশ্বাস জানান, সরকার কর্তৃক নির্ধারিত মূল্য ছাড়া বেশি রাখলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানান, তারা ব্যবস্থা নেবে।
মাদারীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ইকরাম হোসেন জানান, কোন বিক্রেতা কোন ওষুধের মূল্য বেশি নিলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সান নিউজ/কেএমএল