গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি : আষাঢ়-শ্রাবণ মাস বর্ষাকাল। আবহাওয়ার পরিবর্তন আর প্রকৃতির বিরূপ আচরণই জানিয়ে দিচ্ছে ঋতুচক্র বর্ষপুঞ্জিতে আটকা পড়েছে। ভরা বর্ষা মৌসুমে কড়া রোদে লাপাত্তা ঝড়-বৃষ্টি। দিনে দিনে তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। অসহনীয় গরম আর তাপদাহে বিমূর্ষ প্রাণ-প্রকৃতি।
আরও পড়ুন: ফ্লাইওভারের ওপরে সংঘর্ষে নিহত ৩
গত দুই সপ্তাহ ধরে এ অবস্থা বিরাজ করছে গাইবান্ধাসহ উত্তরাঞ্চলে। স্মরণকালের এমন গরমে মানুষসহ হাঁসফাঁস করছে পশু-পাখিও। প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না অনেকেই। শ্রমজীবি মানুষ জীবিকার তাগিদে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। বর্ষাঋতুর সর্বগ্রাসী বিরূপ আচরণে গাইবান্ধায় বেড়েছে হিট স্ট্রোক, জ্বর, সর্দি, কাশি ও ডায়রিয়াসহ নানা রোগে আক্রান্তের সংখ্যা।
শিশু ও বয়স্করা এসব রোগে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে। চিকিৎসকগণ তাপপ্রবাহে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ি থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তবে নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছে বিপাকে। সংসার চালাতে বাধ্য হয়েই কাজে যাচ্ছে তারা। অনেকেই গরম সইতে না পেরে অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার একটি যৌক্তিক দাবি
গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসমূহে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত দুই সপ্তাহে ২ শতাধিক নারী-পুরুষ ডায়রিয়া, জ্বর, সর্দিসহ মৌসুমী রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছে। গত কয়েক দিনের অসহনীয় গরম আর তাপপ্রবাহের মাত্রা বাড়তে থাকায় গাইবান্ধা শহরের সড়কগুলোতে মানুষের উপস্থিতি কমে গেছে।
শপিংমল, বিপণী বিতান ও মার্কেটগুলো খোলা থাকলেও নেই ক্রেতাদের সোরগোল। অলস সময় পার করছে ব্যবসায়ীরা। বিভিন্ন পরিবহনের চালক, শ্রমিক, দিনমজুরসহ কর্মজীবী মানুষরা গরম উপেক্ষা করে বের হলেও অনেকেই হাঁসফাঁস করছে। ফার্মেসিতে ঔষধ ক্রয় করতে আসা মাহমুদা আক্তার বলেন, বাড়িতে বাচ্চাসহ ৩জন অসুস্থ।
আরও পড়ুন: বুয়েট শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
গাইবান্ধার সিভিল সার্জন ডা. আ খ ম আখতারুজ্জামান বলেন, আবহাওয়া স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত প্রয়োজন ছাড়া বাইরে বের না হওয়াই ভালো। এমন পরিস্থিতিতে বেশি করে তরল জাতীয় খাবার, শরবত ও ডাবের পানি পান করা উচিত।
সান নিউজ/এফএ