ফেনী প্রতিনিধি: ফেনীর পরশুরাম উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির উদ্যোগে আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠান দুর্বিত্তদের হামলায় পন্ড হয়ে গেছে। এতে ছাত্রদল ও যুবদলের ৮জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
অপরদিকে বুধবার সকাল থেকে উপজেলা ছাত্রলীগ দলীয় অফিসের সামনে জড়ো হয়ে মহড়া দিতে দেখা গেছে । ঘটনাস্থলকে ঘিরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
উপজেলা বিএনপির নেতারা জানান, পরশুরাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন কোলাপাড়ায় একটি খালি মাঠে এই পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল ঢাকা মহানগর যুদবলের বিএনপি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু। তিনি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে রাওনা দিলে বক্সমাহমুদ বাজার পর্যন্ত পৌছলে হামলার ঘটনার খবর পেয়ে মজনু আর অনুষ্ঠানে যোগ না দিয়ে ঢাকায় ফিরে যান।
বুধবার (১৩ জুলাই) সকালে ঈদ পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠানকে ঘিরে উপজেলা বিএনপি, পৌর বিএনপি, যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা একে একে অনুষ্ঠানস্থলে জড়ো হতে থাকে এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের হামলায় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা ছত্রভঙ্গ হয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। হামলার ঘটনায় আহতরা হলেন যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক সুমন চক্রবর্তী, যুবদলের সদস্য মো; স্বপন, বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য মাসুদ, চিথলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের মোঃ শরীফ, চিথলিয়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সদস্য মাহবুব, রিয়াদসহ ৮জন আহত হয়েছেন।
পরশুরাম উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবদুল হালিম মানিক অভিযোগ করেন তারা প্রথমে আরিপ কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্টানের স্থান নির্ধারণ করে ওসি থেকে অনুমতি নিয়ে অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি নিচ্ছেছিলেন কিন্তু পুলিশ প্রশাসন বুধবার সকালে সীমিত পরিসরে করার পরামর্শ দিলে কোলাপাড়া অনুষ্ঠান শুরু করার প্রস্তুতি নেয়া হয় এসময় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা অনুষ্ঠানস্থলে জড়ো হলে উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালায় এতে প্রায় ৮জন আহত হয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ীতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
পরশুরাম উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল আহাদ চৌধুরী জানান, এটা বিএনপির দুইগ্রুপের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণে নিজেদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আহাদ আরো জানান বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব রফিকুল আলম মজনু ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু তালেবের মধ্যে বিরোধের জেরে বুধবার সকালে নিজেদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে তিনি শুনেছেন। উপজেলা ছাত্রলীগের কোন নেতাকর্মী হামলার ঘটনার সাথে জড়িত নেই বলে তিনি জানান।
পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এম সফিকুল হোসেন মহিম জানান বিএনপির দুই গ্রুপে বিভক্ত তারা নিজেরা নিজেরা মারামারি করে ঈদ পুনর্মিলনীর অনুষ্ঠান পন্ড করে বলে তিনি শুনেছেন এ ঘটনায় উপজেলা আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগের কেউ জড়িত নয়।
সান নিউজ/এনকে