এস,এম শাহাদৎ হোসাইন, গাইবান্ধা: গাইবান্ধায় ভুল চিকিৎসায় ওমর উদ্দিন (৯০) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। গত ১৩ জুলাই বুধবার সকাল ১১টার দিকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতাল গেট সংলগ্ন ঢাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ওমর উদ্দিন গাইবান্ধা সদর উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের মধ্যপাড়া গ্রামের নয়ন শেখের ছেলে। নিহতের স্ত্রী হাসনা বেগম বলেন, বুধবার সকাল ৭টার দিকে হার্টের চিকিৎসার জন্য ওমর উদ্দিনকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি।
ডাক্তার তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে নিয়ে যেতে বলেন। এ সময় ঢাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক কাইয়ুম রোগী ওমর উদ্দিনকে ঢাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নিয়ে যান। ডাক্তার প্রেসার স্বাভাবিক করতে স্যালাইনের মধ্যে দেওয়ার জন্য একটি ইনজেকশন আনতে বলেন। পরে ইনজেকশন আনার পর সেটি স্যালাইনে না দিয়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক কাইয়ুম রোগীর হাতে পুশ করেন। এরপরই তিনি মারা যান।
ঢাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক মনির হোসেন মুরাদ বলেন, হৃদরোগের সমস্যা নিয়ে ওমর উদ্দিন নামে এক বৃদ্ধ রোগীকে নিয়ে তার স্বজনরা সকাল ১১টার দিকে ঢাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টার এ নিয়ে আসেন। তখন তার অবস্থা সংকটাপন্ন ছিল। তাকে রংপুরে রেফার্ড করা হয়েছিল। এ সময় তার প্রেসার একেবারেই কম ছিল।
আমি হৃদরোগের প্রাথমিক ঔষধ খাইয়ে আমার চেম্বারে আসি এবং প্রেসার স্বাভাবিক করতে ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পরিচালক কাইয়ুমকে একটি ইনজেকশন আনতে বলি। ইনজেকশনটি প্রতি মিনিটে ৮ ফোঁটা করে স্যালাইনে পুশ করার নিয়ম। পরিচালক এম আই কাইয়ুম আমাকে না জানিয়ে ইনজেকশনটি রোগির শরীরে সরাসরি প্রবেশ করানোর ১ মিনিটের মধ্যেই ওমর উদ্দিন মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
গাইবান্ধা জেলা সিভিল সার্জন ডা. আ খ ম আখতারুজ্জামান বলেন, কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চিকিৎসা দেওয়াটাই অবৈধ। চিকিৎসক ছাড়া ডায়াগনস্টিক সেন্টারের একজন পরিচালক কিভাবে ইনজেকশন পুশ করে।
সান নিউজ/এনকে