নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এক সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীকে (২৬) ধর্ষণ ও তার নগ্ন ভিডিও চিত্র ধারণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১। এ সময় অভিযুক্ত যুবকের কাছ থেকে ভুক্তভোগী আপত্তিকর ভিডিও সম্বলিত ১টি মোবাইল, ২ টি সিম, ১টি মেমোরি কার্ড, ভুক্তভোগীর আপত্তিকর ছবির স্ক্রিনশট ৫ পাতা ও নগদ ৪১৫ টাকা উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: ট্রাকের ধাক্কায় টমটম চালক নিহত
বুধবার (৬ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন র্যাব-১১, সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন।
গ্রেফতারকৃত মো. কালাম ওরফে কালা মিয়া (৩০) উপজেলার নোয়াখালী পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাধ্যম করিমপুর গ্রামের আবিদ মিয়ার বাড়ির মৃত নুরুল আমিনের ছেলে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার সোনাপুর জিরো পয়েন্ট সংলগ্ন আল আকসা রেঁস্তোরার সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করে র্যাব।
আরও পড়ুন: বিশ্ব এখন ভয়াবহ পরিস্থিতির দিকে যাচ্ছে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সানজিদা আক্তার (ছদ্মনাম) (২৬) একজন সৌদি প্রবাসীর স্ত্রী। ভুক্তভোগীর স্বামী সৌদি প্রবাসী হওয়ায় পিতার বাড়িতে ঘর নির্মাণ করে ছোট ২ ছেলে নিয়ে একা পিতার বাড়িতে বসবাস করে আসছেন। আসামি কালাম ভুক্তভোগীকে বিয়ের আগে থেকে প্রেমের প্রস্তাবসহ কু-প্রস্তাব দিত। বিবাহের পর ভুক্তভোগীর স্বামী প্রবাসে চলে গেলে আসামি বাড়ির আঙ্গিনা ও রাস্তা-ঘাটে ভুক্তভোগীকে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গির মাধ্যমে কু-প্রস্তাব দিত। গত ২৬ জুন রাত ১০টার দিকে ভিকটিম রাতের খাবার শেষ করে ছোট ছেলেকে ঘুম পাড়িয়ে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দেওয়ার জন্য ঘরের বাহিরে টয়লেটে যায়। ওই সুযোগে কালাম অসৎ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য ভুক্তভোগীর অগোচরে বসত ঘরে প্রবেশ করে খাটের নিচে লুকিয়ে থাকে। এরপর রাত সাড়ে ১২টার দিকে ভুক্তভোগী তার শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে মানুষের হাতের স্পর্শ অনুভব করায় ঘুম ভেঙ্গে যায়। ঘরের মধ্যে বৈদ্যুতিক বাতির আলোতে ভুক্তভোগী আসামিকে দেখতে পায়।
ওই বিজ্ঞপ্তি আরও বলা হয়, সানজিদা আক্তার ঘুমের ঘোরে থাকা অবস্থায় আসামি তার অজান্তে অশ্লীল আপত্তিকর ভিডিও ও স্থিরচিত্র ধারণ করে। পরবর্তীতে আসাসি তার হাতে থাকা ১টি ছোরা ভিকটিমের ছোট ছেলের গলায় ধরে ভয়ভীতি প্রদর্শন করত ভিকটিমের ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ ঘটনার পর থেকে আসামি ভুক্তভোগী ও তার সৌদি প্রবাসী স্বামীকে মোবাইল করে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করে এবং দাবিকৃত টাকা প্রদান না করলে ভুক্তভোগীর অশ্লীল আপত্তিকর ভিডিও ও স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূ সুধারাম থানায় নারীও শিশু নির্যাতন দমন ও পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন।
সান নিউজ/কেএমএল