আমিরুল হক, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : অসহনীয় খরতাপে পুড়ছে উত্তরের জেলা নীলফামারীর সৈয়দপুর। ভ্যাপসা গরমে মানুষ নাকাল। তপ্ত ও গুমোট আবহাওয়ায় দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। শহর কিংবা গ্রাম-সবখানেই কাজের জন্য ঘরের বাইরে থাকা মানুষের অবস্থা অনেকটা বিপর্যস্ত। পশুরাও গরমে অস্থির হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন : বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান
মঙ্গলবার (৫ জুলাই) এ উপজেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কয়েক দিনের তাপদাহে দুর্বিষহ হয়ে উঠছে মানুষের জনজীবন। গরমে ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি মিলছে না।
অন্যদিকে ঘন ঘন লোডশেডিং। এতে নষ্ট হচ্ছে বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম। মার্কেটগুলোতে দিনের বেলায় অন্ধকার থাকায় তেমন বেচা-বিক্রি হচ্ছে না। এ অবস্থায় আসন্ন ঈদুল আযায় লোকসানের আশঙ্কা করছেন প্লাজা সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা।
সৈয়দপুর সরকারি কলেজের শিক্ষক প্রভাষক আরিফুল ইসলাম বলেন, তাপদাহের সঙ্গে যোগ হয়েছে বিদ্যুতের আসা-যাওয়া। এতে অসুস্থ মানুষ আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছ। বিপাকে পড়েছে শিক্ষার্থীরাও।
আরও পড়ুন : ঢাবির ‘ঘ’ ইউনিটের ফল প্রকাশ
প্রচন্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা নির্মাণ শ্রমিক নজরুল ইসলামের। তিনি বলেন, হামার পেটত খিদা আছে। যত গরমই পড়ুক, হামাক কাম করির নাগিবে। হামরা একদিন কাম না করলে কাহো ভাত খিলাইবে না।
সৈয়দপুর নেসকো’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান ভূইয়ার জানান, জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ কম সরবরাহ করায় ঘন ঘন লোডশেডিং দিতে হচ্ছে। দৈনিক ৩০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদা থাকলেও ১৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাপ্লাই দিতে বলা হচ্ছে। এর জন্য একসাথে পুরো এলাকাজুড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ দিতে পাচ্ছিনা।
ফলে এক এলাকার বিচ্ছিন্ন রেখে অন্য এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে হচ্ছে। তবে অবস্থা স্বাভাবিক হতে কত সময় লাগবে, তা জানাতে পারেননি তিনি।
সান নিউজ/এইচএন