হসানুল হক,(ঈশ্বরগঞ্জ) ময়মনসিংহ প্রতিনিধি : : আর মাত্র কয়েকদিন পরই পবিত্র ঈদুল আজহা।ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে কোরবানির পশুর হাট জমে উঠেছে।
আরও পড়ুন : ঈদে মানতে হবে ১২ নির্দেশনা
সোমবার (৪ জুলাই) সকাল থেকে ঈশ্বরগঞ্জের বৃহত্তর পৌর গো-হাটা বাজারে উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে গরু আসতে শুরু করে।
এদিকে ছাগল ও ভেড়ার হাট বসে পৌর বাজারের ছাগল মহলে বসেছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে বাজারের নির্ধারিত জায়গা কানায় কানায় ভরে উঠলে ময়মনসিংহ - কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের দু'পাশ,ঈশ্বরগঞ্জ - টু উচাখিলা রোডে, ইসলামপুর মাদ্রাসা রোড ও ঈশ্বরগঞ্জ নতুন এবং পুরাতন ব্রিজেও গরু বেচাকেনা হয়েছে। এতে মহাসড়কে সাময়িক যানজটেরও সৃষ্টি হয়েছে।
দুপুরের পরই কোরবানির পশু দিয়ে কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় হাট। হাটে বড়, মাঝারি ও ছোট সাইজের প্রচুর গরু উঠলেও দাম চড়া থাকায় অনেক ক্রেতা ফিরে এসেছেন। ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলার পাইকারি ক্রেতা ও স্থানীয় ক্রেতারা পছন্দমতো গরু কিনতে ভীড় জমিয়েছেন বাজারে।
আরও পড়ুন : ১২ মৃত্যুতে ফের আতঙ্কে দেশ!
জানা গেছে, ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকায় অবস্থিত পশুর হাট টি ঈশ্বরগঞ্জে বৃহত্তম হাট হিসেবে পরিচিত। সপ্তাহে প্রতি সোমবার হাট বসে। তবে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সোমবার ও শুক্রবার দুই দিন হাটে গরু, ছাগল, ভেড়া কেনাবেচা চলবে বলে জানা যায় ।
সোমবার বিকালে হাটে গিয়ে দেখা গেছে, প্রচুর কোরবানির পশু নিয়ে এসেছেন বিক্রেতারা । মোটামুটি কেনাবেচা হয়েছে বলে ক্রেতা-বিক্রেতারা জানিয়েছেন। তবে হাটে দেশীয় মাঝারি সাইজের গরুর চাহিদা বেশি ছিল। তাই এ জাতের গরুর দাম তুলনামূলক বেশি ছিল।
বাজারে কথা হয় গরুর পাইকার আবুল বাশার সাথে। তিনি অস্ট্রেলিয়ান জাতের একটি বড় ষাঁড়ের দাম হেঁকেছেন আড়াই লাখ টাকা। এছাড়াও তিনি বাজার ঘুরে আরও গরু কিনবেন বলে জানান।
আরও পড়ুন : বন্যায় মৃত্যু বেড়ে ১০৭
উপজেলার মাইজবাগ ইউনিয়নের গ্রামের আজিজুল হক ও জাটিয়া ইউনিয়নের আব্দুল বারেক জানান, তারা কোরবানির জন্য দেশি জাতের মাঝারি গরু কিনতে এসেছেন। কিন্তু বড় গরুর তুলনায় এ ধরনের গরুর দাম বেশি। তাই তাদের মতো অনেক ক্রেতাই ফিরে যাচ্ছেন। আগামী দিন উপজেলার অন্য কোনো হাটে যাবেন।
এদিকে হাটের ইজারাদারদের একজন সিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, হাটের সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ক্রেতা ও বিক্রেতারা যাতে প্রতারিত না হন সে জন্য মাইকে প্রচারণা চালানো হয়।
উপজেলার জাটিয়া ইউনিয়নের নিজতুলন্দর পড়া পাড়া গ্রামে আহেলি এগ্রো ফার্মের দায়িত্বে থাকা মোঃ মতিউর রহমান তালুকদার বলেন, দেশীয় জাতের ছোট বড় মিলিয়ে ৭১টি গরু তার খামারে আছে। এরমধ্যে ৬০টি মাঝারি ও বড় ১১ টি ষাঁড় সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে মোটাতাজা করা হয়েছে । এগুলো থেকে বেশ কিছু গরু বাজারে আনা হয়েছে।
আরও পড়ুন : ভারতীয় গরুর দাপটে খামারিরা আতঙ্কে
কোরবানি বাজারকে ঘিরে যানজট নিরসন ও সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে জানতে চাইলে ঈশ্বরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাছিনুর রহমান বলেন, মহাসড়কে যানজট নিরসনে মাঠে ট্রাফিক পুলিশের সাথে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কয়েকটি টিম কাজ করবে ।
এছাড়াও হাটে যদি অনিয়মের খবর পাওয়া যায়, তবে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। পাশাপাশি ক্রেতা - বিক্রেতাদের টাকা পয়সা সাবধানে রাখতে ক্রেতা- বিক্রেতাদের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
সান নিউজ/এইচএন