ইমরান আল মাহমুদ, টেকনাফ (কক্সবাজার): কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের শিকার ওমর ফারুক (২২) নামে এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন, টেকনাফ পশ্চিম লেদা এলাকার মৃত আব্দু শুক্কুরের ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক প্রকাশ রনি (২২) ও নবী হোছন (২৪)।
আরও পড়ুন: পুলিশ-গ্রামবাসীর সংঘর্ষে আহত ১০
জানা গেছে, টেকনাফ পৌরসভার ওপরের বাজার থেকে অপহরণের শিকার হন ওমর ফারুক (২২)। সে পৌরসভার উপরের বাজার স্বপ্না বাজারে কর্মচারি হিসেবে দীর্ঘদিন চাকরি করে আসছিল। টেকনাফ লেদা এলাকার আবু বক্করের সাথে সম্পর্কের খাতিরে টাকা ধার দেয় ফারুক। পরে নির্দিষ্ট সময়ের পর পাওনা টাকা চাইতে গেলে ফারুককে নানা হুমকি প্রদান করে আবু বক্কর। এক পর্যায়ে গত ২৮ জুন ফারুককে অপহরণ করে গহীন পাহাড়ে নিয়ে মুক্তিপণ দাবি করে আবু বক্করের নেতৃত্বে একদল অজ্ঞাত সন্ত্রাসী বাহিনী।
অপহরণের ঘটনায় ভুক্তভোগীর খালাতো ভাই মো. সাদেক হোসেন বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের পর শুরু হয় পাহাড়ে পাহাড়ে তল্লাশি ও অভিযান। অভিযানের এক পর্যায়ে গত ২ জুলাই রাত ৯টার দিকে হাত পা বাঁধা অবস্থায় ভিকটিম ওমর ফারুককে উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। টেকনাফ থানা পুলিশের সহযোগিতায় অভিযান পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) শাকিল আহমদ। এ সময় অপহরণের ঘটনায় জড়িত দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ বন্যার কবলে অস্ট্রেলিয়া
লেদা এলাকার সাধারণ মানুষ জানায়, রোহিঙ্গা ঢলের পর থেকে পাঁচবছর পর টেকনাফের লেদা এলাকার পাহাড়ে সন্ত্রাসীদের আস্তানা গড়ে উঠেছে। যার নেতৃত্বে রয়েছে আবু বক্কর। তার কয়েকটি সংঘবদ্ধ গ্রুপ সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। এসব সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে এলাকাবাসী।
অপহৃত ভুক্তভোগী ওমর ফারুককে উদ্ধারের ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উখিয়া সার্কেল) শাকিল আহমদ জানান, গত ২ জুলাই টেকনাফ থানা পুলিশের সহযোগিতায় অপহরণের শিকার ওমর ফারুককে গহীন পাহাড় থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যান্য সন্ত্রাসী বাহিনীর তথ্য পেলে তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানান তিনি।
সান নিউজ/কেএমএল