নিজস্ব প্রতিবেদক : হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে ঘুষ, স্বেচ্ছাচারিতাসহ কয়েকটি অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছেন উপজেলার ৭ ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ও উপজেলা সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন : স্নেক আইল্যান্ডে ফসফরাস বোমা হামলা
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে গত ২৮ জুন একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
লিখিত অভিযোগে উপজেলা পরিষদের প্রকল্প অনুমোদনে স্বেচ্ছাচারিতা, সদস্যদের মতামত গ্রহণ না করা, প্রকল্পের বিল পাশে অর্থদাবী ও ইউনিয়ন পরিষদের নামে আসা বিভিন্ন সরকারী বরাদ্দ ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণের অভিযোগ আনা হয়।
অনাস্থা প্রস্তাবে স্বাক্ষর করেন বাহুবল উপজেলা পরিষদের সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান নিলুফার ইয়াসমিন, স্নানঘাট ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ তোফাজ্জল হক, পুটিজুরি ইউপি চেয়ারম্যান মুদ্দত আলী, সাতকাপন ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রেজ্জাক, বাহুবল সদর ইউপি চেয়ারম্যান আজমল হোসেন চৌধুরী, লামাতাসি ইউপি চেয়ারম্যান আকম উস্তার মিয়া তালুকদার, মিরপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শামীম ও ভাদেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান।
আরও পড়ুন : ১৯ ধরনের প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধ
উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা করিয়েছেন। ইউএনওর সাথে আমার বিরোধ থাকায় সে রাত ২টা পর্যন্ত গোপন মিটিং করে চেয়ারম্যানদেরকে দিয়ে এই অভিযোগ করায়। আর সংরক্ষিত ভাইস চেয়ারম্যান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হওয়ার প্রলোভনে এতে স্বাক্ষর করে।
বিষয়টি জানতে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মহুয়া শারমিন ফাতেমার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমি ইউপি চেয়ারম্যানদের দিয়ে এই অভিযোগে করিয়েছি, এটা অযৌক্তিক। আগে থেকেই উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ ছিল।
সান নিউজ/এইচএন