নিজস্ব প্রতিবেদক:
টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলের কারণে লালমনিরহাটের তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৩৮ সে:মি: ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ফলে তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় হাজার হাজার মানুষজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
শুক্রবার (১০ জুলাই) রাত ১২ টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার তিস্তা ব্যারাজ ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৯৮ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ৬০ সেন্টিমিটার) ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাতীবান্ধা-গড্ডিমারী-বড়খাতা বাইপাস সড়কের উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি। সড়কটি ভেঙ্গে গেল তিস্তার পানি হাতীবান্ধা শহরে প্রবেশ করবে। সড়কটি রক্ষায় বালু বস্তা ফেলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিলেও খালি বস্তার অভাবে তা রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না এমন অভিযোগ পানিবন্দি স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা জানান, গত ২৪ ঘন্টার ভারী বৃষ্টি ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার তিস্তার ও ধরলার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। যা ক্রমে কমে গিয়ে বন্যার উন্নতি ঘটে। কিন্তু এক সাপ্তাহে না যেতেই ফের উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে তিস্তার পানি প্রবাহ বিপদসীমার ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে জেলার তিস্তা তীরবর্তী এলাকার হাজার হাজার মানুষজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
এছাড়া তিস্তায় পানি প্রবাহ বৃদ্ধি পাওয়ায় সৃষ্ট বন্যায় চরাঞ্চলের সবজি, বাদামসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন চাষিরা। অনেক মৎস খামারের মাছ পানিতে ভেসে গেছে। ফসলের ক্ষেত বন্যার পানিতে ডুবে গিয়ে ফসলহানীর শঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা। তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলের পানিবন্দি পরিবারগুলো শিশু-বৃদ্ধ ও গবাদি পশুপাখি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম বলেন, উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি প্রবাহ সকাল থেকে বেড়েছে। ব্যারাজ রক্ষার্থে সবগুলো জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে ধারণা করা হচ্ছে, শনিবার সকালে পানি কমে যেতে পারে।
সান নিউজ/ আরএইচ