নোয়াখালী প্রতিনিধি : নোয়াখালী সদর উপজেলার লক্ষীনারায়নপুর এম.এ.রশিদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হাফেজ আহম্মদ ও মাইন উদ্দিনের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের সাথে অনৈতিক আচরণ করে বিদ্যালয়ে বোরকা নিষিদ্ধ করার অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন : দেখিয়ে দিয়েছি আমরাই পারি
রোববার (২৬ জুন) সকাল ১০টার দিকে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নবম-দশম শ্রেণির ৯জন ছাত্রী তাদের সঙ্গে অনৈতিক আচরণের অভিযোগ এনে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, অভিযোগকারীরা নোয়াখালী পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষীনারায়নপুর এম.এ.রশিদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম ও দশম শ্রেণীর ছাত্রী।
গত বুধবাার (১৫ জুন) বিদ্যালয়ের অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা চলাকালীন দুপুর ১২টার দিকে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হাফেজ আহম্মদ ও মাইন উদ্দিন আমাদের পরীক্ষা হলে ঢুকে মেয়েদের চরিত্র সম্পর্কে কটূক্তি করে বলেন, মেয়েরা পার্কে যাই,বোরকা পরে স্কুলে এসে খারাপ চলাফেরা করে, বোরকা পরে আসে এবং কখনও পার্কে দেখলে, মেয়েদের কাপড় উল্টাইয়া পাচায় বেত্রাঘাত কোরিয়া পাচার চামড়া উঠায়ে ফেলবে। সকল ছাত্রী পার্কে যায় না বললে কয়েকজন ছাত্রীর সাথে তাদের বাকবিতণ্ডা হয়। এরপর তারা স্কুলে বোরকা নিষিদ্ধ করেন।
আরও পড়ুন : রাশিয়ান স্বর্ণ আমদানি নিষিদ্ধ!
পরে এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক সাংবাদিক সিরাজ উদ্দিন শাহীন স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি সাবেক কাউন্সিলর আহসান হাবিব হাসান এবং বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকাকে মুঠোফোনে জানানোর পরও কোন প্রতিকার মেলেনি। এখনো তারা প্রতিনিয়ত ক্লাসে প্রবেশ করে ছাত্রীদের সাথে বিভিন্ন অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে।
লিখিত অভিযোগে শিক্ষার্থীরা অভিযুক্তদের শাস্তি চেয়ে তাদের স্বাধীন ভাবে লেখাপড়া করার ব্যবস্থা করে দিতে জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি জানান।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে এম.এ.রশিদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য হাফেজ আহম্মদ ও মাইন উদ্দিন বলেন, এ ধরনের অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা। শিক্ষার্থীদের বাড়িতে গিয়ে ভুল বুঝিয়ে অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : কমছে ভোজ্যতেলের দাম
এম.এ.রশিদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রুনা আক্তার বলেন, সিরাজ উদ্দিন শাহীন নামে একজন শিক্ষার্থীর পিতা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও আমার কাছে মৌখিক ভাবে অভিযোগ করেছেন ম্যনেজিং কমিটির দুইজন সদস্য ক্লাস রুমে ঢুকে ছাত্রীদের সাথে খারাপ আচরণ করে।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধান শিক্ষিকা বলেন,অন্য ছাত্রীরা কোন অভিযোগ করেনি। তবে অভিযোগের বিষয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রীদের কাছে জানতে চাইলে ম্যাক্সিমাম ছাত্রী ম্যানেজিং কমিটির ২জন সদস্য খারাপ আচরণ করে বলে তারা নিশ্চিত করেন। তবে অভিযুক্ত ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা অভিযোগ নাকচ করেন।
আরও পড়ুন : বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে ডোপ টেস্ট
অভিযোগের বিয়ে জানতে চাইলে এম.এ.রশিদ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আহসান হাবিব হাসান বলেন, প্রাথমিক ভাবে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায় নি। তবে অভিযোগের তদন্ত চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন,অভিযোগের কপি এখনো আমার হাতে এসে পৌঁছায় নি।
সান নিউজ/এইচএন