কামরুজ্জামান স্বাধীন, উলিপুর (কুড়িগ্রাম) : কুড়িগ্রামের উলিপুরে চিকিৎসকের অবহেলায় প্রসূতির মুত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন : ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে চলছে নৌকা
মঙ্গলবার (২১ জুন) দিবা গত রাত দেড়টার দিকে পৌর শহরের ডক্টরস ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত গৃহবধুর নাম শ্রী মতি রতেশ্বর রাণী(৫৫)। তিনি উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের কালুডাঙা পুঁটিমারি বিলের সুজন চন্দ্র বর্মণের স্ত্রী।
নিহতের স্বজনদের সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে প্রসব বেদনা নিয়ে শ্রী মতি রতেশ্বরকে ডক্টরস ক্লিনিকে ভর্তি করান স্বজনরা। পরে ক্লিনিকের মালিক ডা. লোকমান হাকিম ও ডা. নজরুল ইসলাম প্রসুতিকে অপারেশন রুমে নিয়ে যান। এর পনের থেকে বিশ মিনিটের মাথায় দায়িত্বরত নার্স মেয়ে বাচ্চা নিয়ে এসে স্বজনদের দেখান। রাত একটার দিকে প্রসুতির ফুফাতো ভাই রতন চন্দ্র বর্মনকে একটি ওষুধ আনতে পাঠান চিকিৎসক। এর কিছুক্ষনের মধ্যেই রতনকে ফোন করা হয় ক্লিনিক থেকে। পরে রোগির অবস্থা সংকটাপন্ন হলে চিকিৎসক তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করলে পথিমধ্যে তার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন : আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ১০০০
প্রসুতির ফুফাতো ভাই রতন চন্দ্র বর্মন জানান, অপারেশনের পর রোগি অসুস্থ্য হয়ে যায়। তবুও ডাক্তার আমাদের কিছু জানায়নি। পরে রাত একটার দিকে ডাক্তার ওষুধ লিখে দেয়। সেটি আনার জন্য বাজারে যাই। পরে ক্লিনিক থেকে আমাকে ফোন করা হয়। এসে দেখি অ্যাম্বলেন্সে করে রোগিকে রংপুর প্রেরণ করা হচ্ছে। সাথে ক্লিনিকের দুজন ছিল, কিন্তু রাজারহাট পার হওয়ার পর আমার বোন মারা গেলে তাৎক্ষনিক গাড়ি থেকে নেমে ক্লিনিকের লোক দুজন পালিয়ে যায়। অপারেশনের সময় নবজাতকের মাথা কেটে যায় বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন : বন্যায় ৩৬ দিনে মৃতের সংখ্যা ৪২
এ বিষয়ে ডক্টরস ক্লিনিকের মালিক ডা. লোকমান হাকিম ঘটনার সত্যতা শিকার বলেন, অপারেশনের পর রোগির ঝিকুনি (হেচকি) শুরু হয়। অনেক চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে তাকে রংপুরে প্রেরণ করা হয়েছে। পরে রাস্তায় তিনি মারা যান। তিনি আরো জানান, নবজাতকের মাথা কাটা গেলেও সেটি বোঝা যায় না বলে জানান।
সান নিউজ/এইচএন