নিজস্ব প্রতিবেদক:
ব্রাহ্মণবাড়িয়া: মামলার চারদিনেও গ্রেপ্তার করা যায়নি ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সদস্যসহ একাধিক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানহানিকর ভিডিও প্রচার ও স্ট্যাটাস দেওয়া দুই যুবক। তবে লিটন হোসাইন জিহাদ ও আর জে সাখাওয়াত শাহিন নামের ওই দুইজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সদস্য সচিব দীপক চৌধুরী বাপ্পী গত মঙ্গলবার (০৭ জুলাই) জিহাদ ও শাহিনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় মামলাটি করেন।
থানার ওসি (অপারেশন) ইসতিয়াক আহমেদ জানান, মামলা হয়েছে, এখন আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, নামমাত্র অনলাইন টিভির নামে সাংবাদিকতার পরিচয়ে প্রতারণা করা আসামিদের নেশা ও পেশা। গত ১৬ জুন লিটন হোসাইন জিহাদ তার ফেসবুক আইডিতে লেখেন, ‘পথিক টিভির সমালোচনাকারী ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সেই সকল সদস্যদের প্রতি আমার ঘৃণা। তাদের জন্ম পরিচয় নিয়ে আমার সন্দেহ আছে। তাই সমালোচনাকারীদের জন্মের ইতিহাস নিয়ে তৈরি করা পথিক টিভির সেই দুটি ভিডিও দেখতে পারেন। কমেন্ট বক্সে লিঙ্ক দেওয়া আছে’। গত মঙ্গলবার দুপুরেও লিটন আবার তার ফেসবুকের স্ট্যাটাসে অনেক অশ্রাব্য কথা-বার্তা বলেন।
গত ১৭ জুন ২নং আসামি সাখাওয়াত ১নং আসামি লিটনের প্ররোচনা ও সহায়তায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সদস্যদের উদ্দেশ্যে পথিক টিভি নামের পেজে একটি ভিডিও প্রকাশ করে সাংবাদিকদের নিয়ে বাজে মন্তব্য করেন।
এজাহারে বলা হয়, আসামিদের এমন বক্তব্য ও স্ট্যাটাস বিভিন্ন পেশাজীবী সম্প্রদায় বা শ্রেণীর মধ্যে শত্রুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ সৃস্টি হয়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
মামলার বাদী সাংবাদিক দীপক চৌধুরী বাপ্পী বলেন, ‘আমরা সব সময় অপসাংবাদিকতার বিরুদ্ধে ছিলাম এবং থাকবো। তবে যে কেউ সঠিক সাংবাদিকতা করলে আমরা তাদেরকে সাধুবাদ জানাই।’
সান নিউজ/এআর