নিনা আফরিন, পটুয়াখালী : রাজধানীর সদর ঘাটে লঞ্চ এবং পন্টুনের মধ্যে চাপা পড়ে পা বিচ্ছিন্ন হওয়া পটুয়াখালীর কবির হোসেন কে মানবিক সহয়তা হিসেবে একটি অটোরিক্সা ও নগদ ৪৩ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : আরও বন্যার জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ
সোমবার (২০ জুন) বিকেলে আমেরিকা প্রবাসী পটুয়াখালীর সন্তান ইসরাত সায়রা নাজমুন পটুয়াখালী রোটারী ক্লাবের মাধ্যমে এ মানবিক সহয়তা তুলে দেয়া হয়।
কবির হোসেনের শ্বশুর মো.দুলাল হাওলাদার তার পক্ষে এ সহয়তা গ্রহন করেন।
চলতি বছরের ১ মে মাসে ঈদের পূর্বে বাড়ি ফেরার সময় সদরঘাটে লঞ্চ এবং পল্টুনের মাঝে চাপা পরে জেলার সদর উপজেলার আউলিয়াপুর ইউনিয়নের কবির হোসেনর পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে তাঁর পা কেটে ফেলেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন : ভারতে বজ্রপাতে ৩০ জনের মৃত্যু
পটুয়াখালী প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী সামসুর রহমান ইকবালের সভাপতিত্বে মানবিক সহয়তা বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী রোটারী ক্লাবের প্রেসিডেন্ট ডা. সৈয়দ আনোয়ারুল হাফিজ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ আনিসুর রহমান সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট লুৎফর রহমান খোকন, নাসরিন মোজাম্মেল এমা, এসএম কবির হোসেন,প্রেসক্লাব সাধারন সম্পাদক মুজাহিদুল ইসলাম প্রিন্সসহ কর্মকর্তা ও সাংবাদিকবৃন্দ।
কবির হোসেনের শ্বশুর দুলাল হাওলাদার জানান, কবির এখনও পুরোপুরি সুস্থ নয়। তিনি এখনও ঢাকার শ্যামলী সেন্ট্রাল হসপিটালে চিকিৎসাধীন। প্রতি সপ্তাহে এখানও তার চিকিৎসায় ১২ হাজার টাকা খরচ হয়।
আরও পড়ুন : সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা অনুমোদন
কবির সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলে এ অটোরিক্সাটি চালিয়ে সংসার পরিচালনা করতে পারবেন। এখনএটি দৈনিক ৫০০ টাকা হারে ভাড়া দেয়া হবে এবং ওই টাকা তার পরিবারের খরচ হিসেবে দেয়া হবে।
অটেরিক্সা পেয়ে খুব খুশি কবির হোসেন। তিনি ফোনে সাংবাদিকদের কাছে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জ্ঞাপন ও নাজমুনের কাছে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
রাজধানীর নবাব পুরে বৈদ্যুতিক পাখার দোকানে দিন মজুরের কাজ করতেন কবির হোসেন (২৮)। চলতি বছরের ১ মে ঈদুল ফিতরের এক দিন আগে সকালে স্ত্রী, মেয়ে ও তিন বোনকে নিয়ে পটুয়াখালী সদর উপজেলার আউলিয়াপুর গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য সদরঘাটে আসেন কবির হোসেন।
আরও পড়ুন : বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন
ঘাটে পটুয়াখালীর একটি লঞ্চ থাকলেও সেটি কানায় কানায় ভরা থাকায় স্বজনদের নিয়ে লঞ্চে উঠতে পারেননি তিনি। অপেক্ষার পর পূবালী-১২ লঞ্চটি ঘাটে ভিড়তে শুরু করে। বেশি গতি থাকায় এটি পন্টুনে এসে জোরে ধাক্কা দেয়।
অন্যদিকে যাত্রীর চাপ থাকায় লঞ্চ ও পন্টুনের মাঝে চাপ খেয়ে কবির হোসেনের বাঁ পা হাঁটুর নিচ থেকে প্রায় আলাদা হয়ে যায়। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তার পা বিচ্ছিন্ন করেন।
আরও পড়ুন : মমতাকে হাড়িভাঙ্গা আম পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী
পরে এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তা আমেরিকা প্রবাসী নাজমুনের দৃষ্টিগোচর হয়। তিনি প্রথম আলোর ঢাকা অফিসে যোগযোাগ করেন এবং কবিরের ঠিকানা সংগ্রহ করে পটুয়াখালী রোটারী ক্লাবের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে কবিরের জন্য এ অনুদানের ব্যবস্থা করেন।
সান নিউজ/এইচএন