নিজস্ব প্রতিবেদক:
গোপালগঞ্জ: গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন পল্লী চিকিৎসক বিমল কৃষ্ণ ত্রিনাথ (৬০)। শুক্রবার (১০ জুলাই) সকাল সাড়ে সাতটায় উপজেলার রাজপাট ইউনিয়নের তেতুলিয়া গ্রামের নিজ বাড়িতে মারা যান তিনি।
এ নিয়ে জেলায় করোনায় মোট ১৬ জনের মৃত্যু হলো। তাদের মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় চারজন, টুঙ্গীপাড়ায় চারজন, কোটালীপাড়ায় একজন, কাশিয়ানী তিনজন ও মুকসুদপুরে চারজন রয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ২৯ জনসহ জেলায় ৯৫৩ জন আক্রান্ত হন, যাদের ৫৫০ জনই সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে গেছেন।
কাশিয়ানী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. কাইয়ুম তালুকদার জানান, গত শনিবার (০১ জুলাই) বিমল কৃষ্ণ ত্রিনাথের করোনা পজেটিভ শনাক্ত হয়। এরপর থেকে নিজ বাড়িতে আইসোলেশনে ছিলেন তিনি।
তিনি আরো জানান, স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপজেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে গ্রামের শশ্মানে তার মরদেহের সৎকার করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ জানান, গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন করে ২৯ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৩ জন, টুঙ্গীপাড়ায় চারজন, কোটালীপাড়ায় ৯ জন, কাশিয়ানীতে একজন ও মুকসুদপুর উপজেলায় দুইজন রয়েছেন। আক্রান্তদের আইসোলেশনে নেওয়ার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের হোম কেয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে আক্রান্তদের বাড়িসহ আশপাশের কয়েকটি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।
এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার ৯৯০ জনের নমুনা পরীক্ষায় জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৯৫৩ জনে। তাদের মধ্যে ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন ৭৬ জন। মোট আক্রান্তের মধ্যে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ২৭৮ জন, টুঙ্গীপাড়ায় ১৬০ জন, কোটালীপাড়ায় ১৪৬ জন, মুকসুদপুরে ১৯৪ জন ও কাশিয়ানীতে ১৭৫ জন রয়েছেন। এ পর্যন্ত ৫৫০ জন সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন, বাকি ৩৮৭ জন জেলার বিভিন্ন হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড ও বাড়িতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। সুস্থ হওয়াদের মধ্যে আছেন গোপালগঞ্জ সদর উপজেলায় ১৩২ জন, টুঙ্গীপাড়ায় ৭৮ জন, কোটালীপাড়ায় ৭৯ জন, মুকসুদপুরে ১৩৮ জন ও কাশিয়ানীতে ১২৩ জন।
সান নিউজ/ এআর