আল আমিন শাওন, শরীয়তপুর: শরীয়তপুরের শিমুলিয়া-মাঝিকান্দি রুটে দুই ফেরির সংঘর্ষে মোহাম্মদ খোকন নামে পিকআপ ভ্যানচালক নিহত হয়েছেন। এ সময় একজন নিখোঁজ ও আহত হয়েছেন অন্তত ১৫ জন।
আরও পড়ুন: বিশ্বে আরও ৭ শতাধিক মৃত্যু
রোববার (১৯ জুন) ভোর ৪টার দিকে পদ্মা নদীর শিমুলিয়া-সাত্তার মাদবর মঙ্গলমাঝি ঘাট নৌরুটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত পিকআপ ভ্যানচালক মোহাম্মদ খোকনের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার কাঠালিয়া চিংবাখালি এলাকার হারুন শিকদারের ছেলে। যাত্রীরা জানিয়েছেন, অবহেলার কারণেই এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনাকবলিত ফেরিতে অর্ধশতাধিক যান এবং দুই শতাধিক যাত্রী ছিলেন।
ফেরির চালক ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রাত থেকেই পদ্মা নদীতে প্রচণ্ড স্রোত ছিল। এই স্রোতের মধ্য দিয়ে ফেরি চলাচল করছিল। ভোর রাতের দিকে বেগম রোকেয়া ও সুফিয়া কামাল নামে দুই ফেরি নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেনি। এ সময় তাদের মধ্যে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুটি ফেরির সামনের অংশ দুমড়েমুচড়ে যায়। এ সময় ফেরিতে থাকা একজন গাড়ির চালক আহত হয়। আরেক চালক নদীতে পড়ে যায়। সংঘর্ষের পর দুটি ফেরিই নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছে যানবাহন ও যাত্রীদের নামান।
আরও পড়ুন: সাইকেল থেকে পড়ে গেলেন বাইডেন
বেগম রোকেয়া ফেরির মাস্টার মিন্টু রঞ্জন দাস মুঠোফোনে বলেন, নদীতে অনেক স্রোত ছিল। জাজিরা পয়েন্টের কাছাকাছি মোড়ে পৌঁছালে স্রোতের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেরি সুফিয়া কামালের সঙ্গে আমার ফেরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে আমার ফেরিতে থাকা ৮-১০টি গাড়ির ক্ষতি হয় এবং পিকআপ ভ্যানচালক নিহত ও নদীতে পড়ে একজন নিখোঁজ রয়েছেন।
ফেরি সুফিয়া কামাল ফেরির মাস্টার মোহাম্মদ হাসান বলেন, নদীতে প্রচণ্ড স্রোতে টার্নিংয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।
আরও পড়ুন: বন্যাকবলিত দেশের ৬৪ উপজেলা
অন্যদিকে, মাওয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আবু তাহের জানান, ফেরি দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির মরদেহ মাওয়া নৌপুলিশ ক্যাম্পে রয়েছে। আইনি পক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। তবে কোনো যাত্রী নিখোঁজ রয়েছে কি না এখনো বলা যাচ্ছে না।
সান নিউজ/কেএমএল