আমিরুল হক, নীলফামারী : বৈদ্যুতিক তার চুরি হওয়ায় নীলফামারীর সৈয়দপুরে ১০০ শয্যা হাসপাতাল অন্ধকারে রয়েছে। মোমবাতি জ্বালিয়ে চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম চলছে জরুরী ও বহির্বভাবাগে।
আরও পড়ুন : বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন প্রধানমন্ত্রী
শনিবার (১৮ জুন) বেলা ১১ টার আগেই কোনো কোনো চিকিৎসক অন্ধকারের কারণে রোগী দেখা বন্ধ করে বাড়ি চলে যান। এতে রোগীদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। এ নিয়ে হাসপাতাল চত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছেন রোগীর স্বজনরা।
তাঁরা জানান, প্রায় এ ধরণের ঘটনা ঘটছে। এর আগে মেশিনের তার চুরি হওয়ায় দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ ছিল এক্স-রে কার্যক্রম। আর বৈদ্যুতিক সার্ভিস তার চুরির ঘটনা ঘটল চতুর্থবারের মতো ।
আরও পড়ুন : প্রাকৃতিক দুর্যোগে ২ দিনে ২৬ মৃত্যু
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. মোহায়মেনুল ইসলাম বলেন, ‘বৈদ্যুতিক সার্ভিস তার চুরি হওয়ায় গতকাল রাত থেকে পুরো হাসপাতাল অন্ধকারে রয়েছে। চুরির বিষয়ে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।
বিষয়টি স্থানীয় বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগকেও জানানো হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, দ্রুত বিদ্যুৎ সচল হবে।’
আরও পড়ুন : সড়ক বাধা হলে কেটে ফেলার নির্দেশ
তবে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান বলেন , হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চুরির বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে ঘটনাটি গুরুত্বসহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, ভৌগলিক কারণে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালটি এ অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ উপজেলা ছাড়াও দিনাজপুরের চিরিরবন্দর, রংপুরের তারাগঞ্জের রোগীরাও চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন এখানে । গত শুক্রবার রাত ৮ টার পর তার চুরি যায়। এরপর থেকে পুরো হাসপাতাল অন্ধাকারে।
আরও পড়ুন : বন্যাকবলিত দেশের ৬৪ উপজেলা
কয়েকজন রোগী বলেন, গতকাল পুরো রাত অন্ধকারে কেটেছে। এখানে শুধু বৈদ্যুতিক তার চুরিই নয় তাঁদের মোবাইল ও অন্যান্য জিনিসপত্রও চুরি হচ্ছে হরহামেশা।
গাইনী বিভাগে চিকিৎসাধীন আতিয়া পারভীন (৩২) বলেন, জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাঁকে গতকাল বিকেলে এখানে ভর্তি করান। কিন্তু এই গরমে বিদ্যুৎ না থাকায় গতকাল সারা রাত কষ্টে কেটেছে। আজও যে কি হবে তা বলা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন : সিলেটে নিত্যপণ্যের চরম সংকট
শনিবার দুপুরে বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা খাতামধুপুর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার আলমগীর হোসেন (৫৩) বলেন, এতগুলো টাকা ভ্যানভাড়া দিয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এলাম। কিন্তু এসে শুনি বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতাল অন্ধকার। তাই আজ চিকিৎসকরা রোগী দেখছেন না। চিকিৎসাসেবা না পেয়েই বাধ্য হয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।
সান নিউজ/এইচএন