সান নিউজ ডেস্ক : টানা বৃষ্টি ও মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটের নিম্নাঞ্চলে দ্বিতীয় দফায় বন্যা দেখা দিয়েছে। ইতোমধ্যে সুরমা, পিয়াইন ও কুশিয়ারাসহ জেলার সবকটি নদীর পানি বেড়েছে। জেলা সদর, কোম্পানিগঞ্জ, গোয়াইনঘাট, কানাইঘাট ও জকিগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে হাজারো মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
আরও পড়ুন: ডায়রিয়ায় ৮ জনের মৃত্যু
গত ১৫ মে থেকে ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জেলার কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দি ছিলেন। সেই সময়ে নগরীতেও বিপুল সংখ্যক মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছিলেন। সেই দুর্ভোগের রেশ কাটতে না কাটতে নতুন করে বন্যার কবলে পড়েছেন মানুষ।
সুরমা নদীর তীরবর্তী নগরীর বিভিন্ন এলাকার বাসাবাড়ি ও দোকানপাটে ইতিমধ্যে পানি প্রবেশ করেছে। নগরীর পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত কালিঘাট ও মহাপট্টিতে নদী তীরবর্তী ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আবারও পানি ঢুকেছে।
আরও পড়ুন: লতিকায় পুরস্কার জিতলেন স্বপন
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (১৫ জুন) সকাল ৯টায় সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে দশমিক ৫৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। একই সময়ে কুশিয়ারা নদী ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টে দশমিক ১১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া সারিঘাটে সারি নদী বিপদসীমার দশমিক ২০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
এদিকে, গোয়াইনঘাট উপজেলার বেশ কয়েকটি সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। উপজেলা সদর, পূর্ব ও পশ্চিম জাফলং, মধ্য জাফলং, পূর্ব ও পশ্চিম আলীরগাঁও, রুস্তপুর, তোয়াকুল ও লেঙ্গুড়া ইউনিয়নের ৯০ শতাংশ এলাকা বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমান বলেন, ‘এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয় দফায় বন্যায় বিপুল সংখ্যক মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় ৪২টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে পানিবন্দি মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে আনার কার্যক্রম হাতে নেওয়া হয়েছে। এরই মধ্যে অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।’
সান নিউজ/এফএ