নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলা থেকে পুলিশ এক ডিভোর্সি তরুণীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন সোনাইমুড়ী থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মো. সুলতান আহছান উদ্দিন। তবে তাৎক্ষণিক পুলিশ ও নিহতের পরিবার এ হত্যাকান্ডের কোন কারণ নিশ্চিত করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: নিজের বাসার ছাদে বাগান করেন
বুধবার (১৫ জুন) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের ৭নম্বর ওয়ার্ডের পিতাম্বুর গ্রামের মিনা হাজী বাড়ি সংলগ্ন একটি সবজি খেত থেকে পুলিশ এ মরদেহ উদ্ধার করে। নিহত তরুণীর নাম জান্নাতুল ফেরদৌস পাখি (৩০) উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের পিতাম্বপুর গ্রামের মহিন উদ্দিনের মেয়ে।
নিহতের ভাই কাউছারের বরাত দিয়ে সোনাইমুড়ী থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী মো. সুলতান আহছান উদ্দিন জানান, নিহত পাখি ডিভোর্সি তরুণী ছিল। সে বাবার বাড়িতে থাকত। গতকাল (মঙ্গলবার) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পাখি বোনের বাড়ি যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর বুধবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার পিতাম্বপুর গ্রামের মিনা হাজী বাড়ির উত্তর পূর্ব পাশের একটি সবজি বাগান থেকে স্থানীয় মেয়েরা সবজি নিতে এসে দেখে ওই তরুণীর গলাকাটা লাশ পড়ে আছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এবং লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করে।
আরও পড়ুন: ভোট কেন্দ্র থেকে ২ যুবক আটক
ওসি তদন্ত আরও জানান, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত নিহতের পরিবার বিশেষ কোন ক্লু দিতে পারেনি। তবে ডিভোর্সি তরুণী হওয়ায় কারও সাথে যোগাযোগ থাকতে পারে বলে ধারণা করছে পরিবার।
তিনি আরও বলেন, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে বিকেলের দিকে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করবে। এ ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনে চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগের আলোকে আইনগত প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
সান নিউজ/কেএমএল