শফিক স্বপন, মাদারীপুর : মাদারীপুরে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে প্রশাসনের করা সিলগালার তালা ভেঙ্গে মালামাল চুরির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
আরও পড়ুন : মাঙ্কিপক্স সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি একজন
মঙ্গলবার (৭ জুন) দুপুরে শহরের ইটেরপুল এলাকার একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানে এক সংবাদ সম্মেলন করে হাসপাতালটির এক অংশের মালিকপক্ষ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান মনির এই অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনের সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর শহরের শকুনী লেকেরপাড়ের ডিজিটাল এ্যাপোলো (প্রাঃ) হাসপাতালের মালিকানা সংক্রান্ত দ্বন্ধ থাকায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটি চিঠির মাধ্যমে, ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে মাদারীপুর জেলা প্রশাসকের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেটের একটি দল এসে হাসপাতালটির কার্যক্রম বন্ধ করে সিলগালা করে দেয়।
আরও পড়ুন : ইউক্রেনকে 'ব্ল্যাকমেইল' করছে রাশিয়া
এতে হাসপাতালে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, আসবাবপত্র ও চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত মূল্যবান যন্ত্রপাতি ভবনটিতে আটকে থাকে। ঘটনার কয়েক মাস পরে হাসপাতালের আরেক অংশীদার ও হাসপাতালটির ভবন মালিক ইউনুস মোল্লা সেই ভবনটিতে অবস্থিত তার হাসপাতালের সিলগালা অংশের তালা ভেঙে মালামালসহ দামী যন্ত্রাংশ চুরি করে নিয়ে যায় বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন হাসপাতালটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান মনির।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, এই ঘটনায় সে বাদী হয়ে মাদারীপুর সদর মডেল থানায় একটি এজাহার দায়ের করেছেন।
আরও পড়ুন : ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস আজ
ডিজিটাল এ্যাপোলো হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুজ্জামান মনির আরো বলেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মালিকানা দ্বন্ধের জেরে প্রতিষ্ঠান সিলগালা করে দেওয়ার পরেও সেই তালা ভেঙে আমাদের অজান্তেই হাসপাতালে ঢুকে চিকিৎসার কাজে ব্যবহৃত দামী যন্ত্রপাতি চুরি করে ইউনুস মোল্লা অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে। আমি প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার বিচার দাবী করি ও সাথে চুরি যাওয়া মালামাল উদ্ধার করারও দাবী জানাই।’
আরও পড়ুন : গাফিলতি পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা
হাসপাতালের আরেক অংশীদার ইউনুস মোল্লা বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগটি সম্পূর্ণ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। হাসপাতালের মালিকানা নিয়ে আমাদের দ্বন্ধ রয়েছে। কিন্তু আমি কোন মালামাল সরিয়ে নেইনি। আমার ভবনটি মনিরুজ্জামান ৫ বছর ধরে ব্যবহার করেছে, কিন্তু কোনো ভাড়া দেয় নি। এখন আমাকে উল্টো হয়রানি করার জন্য এসব মিথ্যে অভিযোগ করছে।’
আরও পড়ুন : তদন্ত প্রতিবেদন পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
মাদারীপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক আলতাফ হোসেন বলেন, এই ঘটনায় মনিরুজ্জামান মনির থানায় অভিযোগ করে। পরে ওসি স্যার আমাকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে পাঠায়। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
সান নিউজ/এইচএন