বদরুল ইসলাম বিপ্লব, ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গীতে মরা ব্রয়লার মুরগি ও মরা ছাগলের মাংস বিক্রির ঘটনার ১ মাস যেতে না যেতেই এবার মরা গরু জবাই করে মাংস বিক্রির সময় দুজনকে আটক করে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত।
রবিবার রাত সাড়ে ১১টায় ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও বালিয়াডাঙ্গী ইউএনও যোবায়ের হোসেন এ রায় প্রদান করেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের শাহাপাড়া গ্রামের সলিম উদ্দীনের ছেলে রমজান আলী (৪৫) ও বিশ্রামপুর গ্রামের আব্দুল আলীর ছেলে পয়জার আলী (৩৮)।
সহযোগী স্যানেটারী ইন্সপেক্টর আব্দুল গফুর জানান, দন্ডিত কসাইরা রোববার ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মটরা হাট থেকে একটি মুমুর্ষু গরু কিনে নেয়। কিন্তু গরুটির অবস্থা বেগতিক দেখে সেটি জবাই করে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার ভানোর ইউনিয়নের কাঁচকালী বাজারে ইজিবাইকে নিয়ে আসে।পরে গভীর রাতে গাড়িতে করে জবাই করে আনা গরুটির মাংস কেটে বিক্রি শুরু করতে স্তানীয়রা ইউএনওকে অবগত করে। ইউএনও তাতক্ষনিকভাবে পুলিশ সহ ঘটনাস্থলে অভিযান চালিয়ে দুজন কসাইকে আটক করে। মোস্তফা নামে একজন পালিয়ে পালিয়ে যায়। তিনিই ওই গরুর মালিক ছিলেন বলে জানা গেছে।
ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক যোবায়ের হোসেন জানান, জবাই করা পর গরুটি ইজিবাইকে নিয়ে এসে মাংস বিক্রির জন্য চেষ্টাকালে পুলিশ সদস্যদের সহযোগিতায় দুজনকে আটক করা হয়। পরে তারা নিজেদের দোষ স্বীকার করলে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।
বালিয়াডাঙ্গী থানার ওসি খায়রুল আনাম বলেন সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে দণ্ডপ্রাপ্ত দুজন কসাইকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এর আগেও গত ২০ মে মরা ছাগল জবাই করে মাংস বিক্রির দায়ের নজরুল ইসলাম (৪৮) ওরফে ইদু নামে এক কসাই জেলে পাঠানো হয় এবং গত ১০ মে মরা মুরগির মাংস রান্না করে বিক্রি ও বিক্রির দায়ে হোটেল মালিক সেলিম উদ্দীনকে ৫ হাজার টাকা ও মাংস বিক্রেতা আব্দুলকে ১০ হাজার অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।
সান নিউজ/এনকে