নোয়াখালী প্রতিনিধি: সহকর্মীর ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে রাস্তায় দাঁড়ালেন নোয়াখালীর সাংবাদিকরা। একই সঙ্গে অভিযুক্তদের আইনের আওতায় না আনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ড অগ্নিকান্ডে নিহত বেড়ে ৪৯
রোববার (৫ জুন) বেলা সাড়ে ১০টার দিকে নোয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সামনে দুই ঘন্টা ব্যাপী এ কর্মসূচি পালন করে।
চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের জেলা প্রতিনিধি সুমন ভৌমিকের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বখতিয়ার শিকদার, আলমগীর ইউছুফ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল হক আনোয়ার, জামাল হোসেন বিষাদ, সিনিয়র সাংবাদিক আবু নাছের মঞ্জু, নাসির উদ্দিন বাদল, লিয়াকত আলী খান, আকাশ মো.জসিম,মাসুদ পারভেজ প্রমূখ।
বক্তারা অভিযোগ করেন, নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে একাত্তর টিভির নোয়াখালী প্রতিনিধি মিজানুর রহমান পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে যুবলীগ-ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন। এ ঘটনার ৪ দিন পার হয়ে গেলেও আসামিরা গ্রেফতার হয়নি।
আরও পড়ুন: গ্যাসের চুলার দাম বাড়ল
এ ঘটনায় মিজানুর রহমান বাদী হয়ে গোপালপুর ইউনিয়ন যুবলীগের আহবায়ক জাবেদ হোসেন রকি ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি তুহিনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও তাদের কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
এর আগে ঘটনার দ্বিতীয় দিনে মানববন্ধনে বক্তারা প্রশাসনকে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অপরাধীদের গ্রেফতারের সময়সীমা বেধে দেয়। তা না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। কিন্ত তারপরেও আইশৃঙ্খলা বাহিনী হামলাকারীরা প্রকাশ্যে মিছিল সমাবেশ করলেও কাউকে গ্রেফতার করেনি।
সাংবাদিক মিজানুর রহমান বলেন, গত বুধবার (১ জুন) দুপুরে তিনি বেগমগঞ্জের বাংলাবাজারে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্যাহ বুলুর উপস্থিতিতে দলটির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খাবার বিতরণ কর্মসূচির খবর সংগ্রহ করতে যান।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে বিশ্ব পরিবেশ দিবস পালিত
এ সময় স্থানীয় যুবলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে কর্মসূচিস্থলে এসে হামলা চালায়। এসময় ভিডিও ধারন করতে গেলে যুবলীগ কর্মী জাবেদ হোসেন রকি ও তুহিন মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে তাকে লাঞ্ছিত করে। দুই ঘন্টা পর সকল ভিডিও মুছে তাকে মোবাইল ফেরত দেওয়া হয়।
সান নিউজ/এফএ