সান নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুনের ঘটনা ফেসবুকে লাইভ করতে গিয়ে জীবন দিলেন ওয়ালিউর রহমান নামে এক তরুণ। নিখোঁজ অলিউর রহমান মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের ফটিগুলী গ্ৰামের আশিক মিয়ার ছেলে। সে সীতাকুণ্ডে বিএম কনটেইনার ডিপোতে শ্রমিকের কাজ করতেন।
আরও পড়ুন: ভয়াবহ আগুনে নিহত বেড়ে ২১
শনিবার (৫ জুন) রাত ১০টার দিকে যখন আগুন লাগে তখন একটু দূরে দাঁড়িয়েই মোবাইলে ফেসবুক লাইভ করছিলেন তিনি। লাইভে দেখা যায়, কনটেইনারে আগুন জ্বলছে এবং ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন।
লাইভে থাকা অবস্থায় দেখা যায় হঠাৎ বিস্ফোরণ। এরপরই স্ক্রিন অন্ধকার হয়ে যায়। এরপর দীর্ঘ সময় তার সন্ধান মেলেনি। রাত ২টার দিকে ফেসবুক লাইভকারী তরুণ ওয়ালিউর রহমানের লাশ আসে চট্টগ্রামের পার্কভিউ হাসপাতালে।
আরও পড়ুন: গার্মেন্টস শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ
হাসপাতাল থেকে জানানো হয়, রাত ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত চট্টগ্রামের বেসরকারি পার্কভিউ হাসপাতালে অগ্নিদগ্ধ ৩০ জনকে নিয়ে আসা হয়। এদের মধ্যে ১৫ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়। একজনকে আনা হয় মৃত অবস্থায়। তিনি লাইভ ভিডিওকারী ওয়ালিউর রহমান।
এর আগে অলিউর রহমানের সহকর্মী রুয়েল বলেন, আমরা এই সময়টাতে খাবারের জন্য ডিপো থেকে চলে আসি। কিন্তু ফেসবুকে লাইভ করার জন্য অলিউর সেখানে থেকে যায়। তার লাইভ ভিডিও দেখলেই বুঝতে পারবেন।
আরও পড়ুন: একসঙ্গে ৮ মিসাইল ছুড়ল উত্তর কোরিয়া
মুঠোফোনে রুয়েলের সঙ্গে কথা চলছিল তখনও বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হচ্ছিল। রুয়েল বর্ণনা দিয়ে বলেন, খুবই ভয়াবহ অবস্থা। ডিপোর ভেতরে থাকা কেউ বেঁচে থাকার কথা নয়। আর অলিউর বেঁচে থাকলে আমার কাছেই আসত। কারণ আমরা একসঙ্গে কাজ করি। এক জায়গায়তেই থাকি।
সান নিউজ/এমকেএইচ