আমিরুল হক, নীলফামারী: নীলফামারীর সৈয়দপুরে চাইনিজ রেস্টুরেন্টে অভিযান চালিয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণ-তরুণীকে আটক করেছে পুলিশ। এছাড়া অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি করে দেয়ার দায়ে রেস্টুরেন্টের মালিক মাহিন আহমেদ প্রান্তকেও আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: বাক বিতণ্ডায় জড়িয়ে ঘোড়া হত্যা অভিযোগ!
শনিবার (২৮ মে) দুপুরে সৈয়দপুরে প্লাজা সুপার মার্কেটের ফুড প্যালেস থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, ফাস্টফুড ও রেষ্টুরেন্টগুলোতে লাগাতার অসমাজিক কর্মকাণ্ড এবং আলোচিত ধর্ষণ ঘটনার প্রেক্ষিতে মামলার বিষয়ে নিয়মিত পর্যবেক্ষণের অংশ হিসেবে পুলিশ টহল দিচ্ছিল। এ সময় রেষ্টুরেন্টে প্রবেশ করা মাত্রই একটি কেবিনে দুইজন তরুণ-তরুণী অপ্রীতিকর অবস্থায় অসামাজিক কার্যকলাপরত হাতেনাতে ধরে পড়ে।
আরও পড়ুন: সরকারি প্রা:বিদ্যালয়ের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন, দুর্ভোগে শিক্ষার্থীরা
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় তাঁরা সৈয়দপুরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী। ওই দুই শিক্ষার্থীকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হলেও রেস্টুরেন্টের মালিক মাহিন আহমেদ প্রান্তকে ভ্রাম্যমান আদালতে নেওয়া হয়। ভ্রাম্যমান আদালত তাঁকে ২০০ টাকা জরিমানা করে। এ জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শামীম হুসাইন।
সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসনাত খান আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে এবং মালিককে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমান করা হয়েছে। এছাড়া এখন থেকে চাইনিজ রেস্টরেন্টগুলোতে পুলিশের নজরদারি থাকবে।
আরও পড়ুন: পুরাতন ইটখান কি নদীত ফিক্কি দেমো?
প্রসঙ্গত, একজন সনাতন (হিন্দু) ধর্মাবলম্বী কলেজ ছাত্রীকে কৌশলে ডেকে এনে ওই রেষ্টুরেন্টে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনায় গত ৩১ মার্চ প্রান্তসহ দুবাই রেষ্টুরেন্টের মালিক ওয়াহিদ এবং ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। পরে এ সংক্রান্ত মামলায় তাদের গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়। সেই মামলার জামিন নিয়ে বেড়িয়েই আবারও রেষ্টুরেন্টে অসামাজিক কর্মকান্ড শুুরু করেছে মাহিন আহমেদ প্রান্ত।
সান নিউজ/কেএমএল