শফিক স্বপন মাদারীপুর: বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ীতে আজ থেকে শুরু হয়েছে ৩ দিনব্যাপী ‘কুম্ভমেলা’ বা কামনার মেলা।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে আসছে বিশ্বকাপ ট্রফি
শ্রীশ্রী মহামানব গনেশ পাগলের এ মেলায় ভক্তরা আসেন পূণ্য অর্জনের আশায়। মেলাকে ঘিরে পুরো মাঠজুড়ে বসেছে সারি সারি দোকান। এ সব দোকানে পাওয়া যাবে পছন্দের সব জিনিসপত্র। আয়োজকরা বলছেন, দুই বছর করোনার কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর এ বছর ভক্তবৃন্দ ও দোকানিরা আসছেন মেলায়। বসছেন পণ্যের পসরা সাজিয়ে। দিন দিন মেলার জনপ্রিয়তা বাড়ায় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে লাখ লাখ মানুষের সমাগম ঘটেছে।
এদিকে মেলায় আগত মানুষের নিরাপত্তায় তিনস্তরের ব্যবস্থা নিয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনী।
কথিত আছে যে জ্যৈষ্ঠ মাসের ১৩ তারিখে ১৩ জন সাধু ১৩ কেজি চাল ও ১৩ টাকা নিয়ে এ পূজা শুরু করেন । দেবতারা সমুদ্র মন্থন করে হরিদ্বার, প্রয়াগ, উজ্জয়িনী ও নাসিক এ চারটি স্থানে অমৃতসুধা চারটি কুম্ভপাত্রে রাখে। সেই থেকে প্রায় ১৩১ বছর পূর্বে ভারতের কুম্ভমেলা অনুকরণে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ীতে শ্রীশ্রী গনেশ পাগলের আশ্রমে এ মেলা অনষ্ঠিত হচ্ছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-উত্তরবঙ্গ ট্রেন চলাচল শুরু
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সত্য যুগে দেবতা ও অসুরদের সমুদ্র মন্থনে যে অমৃত সুধা উঠেছিল তা চারটি কুম্ভ পাত্রে হরিদ্বার, প্রয়াগ, উজ্জয়িনী ও নাসিক এ চারটি স্থানে রাখা হয়েছিল। এ ঘটনার পর থেকে মুনি ঋষিরা কুম্ভ মেলার আয়োজন করে আসছেন।
১৪০ বছর আগে জ্যৈষ্ঠ মাসে রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ীর দীঘিরপাড় ভারতের কুম্ভমেলাকে অনুসরণ করে এ মেলার আয়োজন করেন। সেই থেকে মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার কদমবাড়ীর দীঘিরপাড় শ্রীশ্রী গনেশ পাগল সেবাশ্রমে এ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। এক রাতের মেলা হলেও মেলা চলে সপ্তাহব্যাপী।
আরও পড়ুন: শুভকে ছাড়া কিচ্ছু ভাবতেই পারি না
আয়োজক কমিটির সভাপতি প্রণব বিশ্বাস জানায়, মেলায় আগত ভক্তদের জন্য চিড়ামুড়ি ও স্বাস্থ্যসেবাসহ সকল ধরনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল বলেন, এই মেলাকে ঘিরে যাতে কোনো বিশৃঙ্খলা বা অরাজকতার সৃষ্টি না হয়। সেই লক্ষে আমরা তিন স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
সান নিউজ/কেএমএল