শফিক স্বপন, মাদারীপুর : আদালতে এজলাসের বাইরে হাতে হাতকড়া নিয়েই বাদীকে মেঝেতে ফেলে পেটে লাথি মেরেছেন ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতারকৃত সেই দাঁতের ডাক্তারের বন্ধু ও মামলার ২নং আসামি। এতে বাদী ও তার স্বামী আহত হন।
আরও পড়ুন : ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য ডেল্টা প্ল্যান
বুধবার ( ২৫ মে) দুপুরে মাদারীপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের তৃতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে, কয়েক মাস আগে মাদারীপুরের কালকিনিতে দাঁতের ডাক্তার সাইদুর রহমান কিরণের কাছে চিকিৎসা নিতে যান এক গৃহবধূ। এরপর তাকে চিকিৎসার নামে অচেতন করে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে রাখেন ঐ ডাক্তার। সেই ভিডিও প্রকাশের ভয় দেখিয়ে ডা. কিরণ ও তার দুই বন্ধু লাগাতার ধর্ষণ করতে থাকেন।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ বাধ্য হয়ে তার স্বামীকে জানান ও কালকিনি থানায় মামলা করেন। মামলায় ডা. সাইদুর রহমান কিরণ ও তার বন্ধু মেহেদী হাসান শিকদার, সোহাগ মোল্লাকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন : ট্যাক্স দিয়ে পাচারকৃত টাকা আনা যাবে
প্রত্যক্ষদর্শী ও বাদী জানান, ধর্ষণ মামলার ২নং আসামি মেহেদী হাসান শিকদার বুধবার দুপুর ১২টার দিকে জেলা আদালতে হাজিরা দিতে আসেন। পরবর্তীতে এজলাস থেকে বের হওয়ার সময় হাতকড়া পরা অবস্থায় অন্য হাত দিয়ে, দরজার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা মামলার বাদীর হাত টেনে নিচে ফেলে পেটে লাথি মারেন। পরবর্তীতে বাদীর স্বামী এগিয়ে এলে তাকেও মারধর করেন আসামির স্বজন মামুন প্যাদা ও সোহাগ শিকদার। পরে বাদী ও তার পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যান তারা।
আরও পড়ুন : হজের খরচ বাড়লো
ভুক্তভোগী বলেন, আসামি মেহেদী হাসান হাতে হাতকড়া পড়া অবস্থায় পুলিশের সামনেই আমার ওপর হামলা চালায় ও পেটে লাথি মারে। আমার স্বামীকে আসামির ভাইয়েরা মারধর করে। আসামির ভাই মামুন প্যাদা আমাকে হুমকি দিয়ে বলে- যদি আমার ভাই জামিন না পায়, তোদের দেখে নেব।
মাদারীপুর আদালতের পুলিশ পরিদর্শক রমেশ চন্দ্র দাস বলেন, আসামি বাদীকে লাথি মারার চেষ্টা করেছিল। তবে পুলিশ আসামিকে টেনে সরিয়ে নিয়ে গেছে।
সান নিউজ/এইচএন