নিজস্ব প্রতিনিধি:
বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির এক সপ্তাহের ব্যবধানে এবার পারাপারের একটি ছোট্ট নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৫ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে এই ঘটনায় ইসরাফিল (২৬) নামে এক তরুণ এখনও নিখোঁজ রয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরিরা নদীতে উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদরঘাট স্টেশন অফিসার মালেক মোল্লা জানান, দুপুর ১২টার দিকে ঘটনাটি ঘটলেও ২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসকে জানানো হয়। নৌকাটিতে মাঝিসহ সাত জন ছিল। এর মধ্যে ছয় জনই সাঁতরে পাড়ে উঠতে সক্ষম হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সদরঘাটের বাদামতলী ঘাট এলাকার মসজিদের পশ্চিম দিক দিয়ে কেরাণীগঞ্জ থেকে পারাপারের একটি নৌকা আসছিল। এই সময় ঘাটে মিরাজ-৬ নামে একটি বড় লঞ্চ পেছনের দিকে এলে ধাক্কা ও স্রোতের টানে ছোট্ট নৌকাটি ডুবে যায়। খোঁজ করে দেখা যায় ইসরাফিল নামে এক তরুণ তীরে উঠতে পারেনি। পরে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিদের খবর দেয়।
নিখোঁজ ইসরাফিলের মামা মুন্না জানান, ইসরাফিল হাজী সেলিমের মদীনা মার্কেট এলাকায় একটি জেনারেটরের দোকানে চাকরি করে। সকালে কেরাণীগঞ্জের কোনাখোলা জিটপুর থেকে সহকর্মী শরীফসহ দোকানের দিকে রওয়ানা দেয়। তারা ছোট্ট নৌকাগুলো দিয়ে নদী পার হয়ে সরাসরি মার্কেটে চলে যেত। কিন্তু নৌকা বাদামতলী ঘাটের দিকে ভিড়তেই ঢাকা-চাঁদপুরের মিরাজ-৬ লঞ্চটি স্টার্ট করে পেছাতে শুরু করে। এতে দুই লঞ্চের মাঝে আটকা পড়ে নৌকাটি ডুবে যায়। পরে অন্যরা উঠে আসলেও ইসরাফিল তীরে উঠতে পারেনি।
মুন্না জানান, ইসরাফিলের সহকর্মী শরীফ প্রথমে ভেবেছিল ইসরাফিলও সাঁতরে তীরে উঠে দোকানে চলে গেছে। এই জন্য সে সোজা দোকানে গিয়ে খোঁজ নেয়। সেখানে ইসরাফিলকে না পেয়ে আবারও ঘাটে আসে। পরবর্তীতে বাড়িতে গেছে কিনা এই জন্য ফোন করে। পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি জানতে পেরে তারাও ঘাটে এসে ফায়ার সার্ভিস ও ঘাট কর্তৃপক্ষকে জানায়।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা মালেক মোল্লা জানান, ডুবুরি দিয়ে উদ্ধার কাজ চালছে। সন্ধ্যা পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হবে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার বুড়িগঙ্গা নদীতে মর্নিং বার্ড নামে একটি ছোট লঞ্চ ডুবে ৩৪ জন নিহত হন। মুন্সীগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে লঞ্চটি সদরঘাটে আসার সময় ময়ূর-২ নামে আরেকটি বড় লঞ্চ পেছন থেকে ধাক্কা দিলে সেখানেই মর্নিং বার্ড লঞ্চটি ডুবে যায়।