হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার করাব গ্রামে দু’পক্ষের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : আমার নামে চাঁদাবাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা
শুক্রবার ( ২০ মে ) সকাল ১১ টা থেকে দুপুর পর্যন্ত করাব গ্রামে দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় শাকিল মিয়া নামে এক যুবককে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
আহত নজরুল ইসলাম রিমন জানান, সে পেশায় একজন ধান ব্যবসায়ী। বৃহস্পতিবার একই গ্রামের নুর মিয়ার পুত্র আতর আলীর কাছ থেকে ২১ মন ধান ক্রয় করে সে। ধান ক্রয়ের পর হাওর থেকে ধান বাড়িতে নিয়ে আসার সময় ধান ক্রয়ের টাকার লেনদেন নিয়ে তাদের মধ্যে বাকবিতন্ডা হয়। এরই জেরধরে শুক্রবার রিমনকে ফের মারধোর করা হয়। খবর পেয়ে উভয় পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় দুই ঘন্টা ব্যাপী চলা এ সংঘর্ষে নারীসহ অন্তত অর্ধশতাধিক লোকজন আহত হয়। খবর পেয়ে লাখাই থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
আরও পড়ুন : ইমরান খানকে সমর্থন করলেন বিলাওয়াল
সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে, ওয়াকিল মিয়া, ফখরুল মিয়া, আবেদ আলী, আমিরুন্নেছা, সাইফুল ইসলাম, রাজন মিয়া, জারু মিয়া, আশিকুল মিয়া, মফিজুল মিয়া, লিমন মিয়া, আশিকুর রহমান, তাউছ মিয়া, রিফাত মিয়া, জাহির মিয়া, মাসুম মিয়া, জিলু মিয়া, আব্দুল্লাহ মিয়া, তুর্জয়, নুরুল হক, ফাতেমা আক্তার, ভিংরাজ মিয়া, শরিফ মিয়া, তাজ উদ্দিন, ছুরুক মিয়া, লুৎফুর রহমান, মজলিস মিয়া, মোবারক মিয়া, শামীম আহমেদ, রায়হান মিয়া, চান মিয়া ও জামাল মিয়াকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
লাখাই থানার (ওসি) সাইদুল ইসলাম জানান, পুলিশ স্থানীয়দের সহায়তায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে এনেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ফের সংঘর্ষ এড়াতে ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
সান নিউজ/এইচএন