ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের আমতলী এলাকা থেকে অপহৃত কিশোরী বন্দনা রানীকে (১৩) সিলেটের সবুত বাজার এলাকার তার ফুফুর বাসা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : আমার নামে চাঁদাবাজি করলে কঠোর ব্যবস্থা
বুধবার (১৮ মে) ভালুকা মডেল থানার উপপরিদর্শক (এস.আই) নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের ৫ সদস্যের একটি দল বন্দনা রানীকে উদ্ধার করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বন্দনা রানী হবিরবাড়ি ইউনিয়নের আমতলা গ্রামে তার বাবা বিজন কর্মকার সহ এনামুলের বাড়িতে ভাড়া থাকতেন। পাশেই রতনের বাড়ির ভাড়াটিয়া রাকিবের (২০) সাথে বন্দনা রানীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। কিন্তু দুজনেই ভিন্ন ধর্মাবলম্বীর হওয়ায় বন্ধনা রাণীর বাবা প্রেমের সম্পর্ক মেনে নিতে অস্বীকার করেন।
আরও পড়ুন : ইমরান খানকে সমর্থন করলেন বিলাওয়াল
ফলশ্রুতিতে কাউকে না জানিয়ে বন্ধনা রাণী তার প্রেমিক রাকিবের বাসায় চলে যায়। স্থানীয়রা সালিশের মাধ্যমে বন্দনা রানীকে তার বাবার কাছে তুলে দিয়ে তাদের কে গ্রামের বাড়ি দিনাজপুরে চলে যেতে বলেন। বিষয়টি বন্দনা রানী টের পেয়ে নিজে থেকেই আত্মগোপনে চলে যান।
এরপর বন্ধনার বাবা বিজন কর্মকার ভালুকা মডেল থানায় একটি নিখোঁজ জিডি করেন। রাকিব তখনও এলাকায় থেকে নিয়মিত ডিউটি করছিলেন। বন্ধনা নিখোঁজের ৪ দিন পর রাকিব যখন তার বেতন তুলে এলাকা থেকে চলে যান।
আরও পড়ুন : সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত
তখন সন্দেহের তীর রাকিবের দিকে চলে যায়। এরপরেই বন্দনার বাবা বাদি হয়ে ভালুকা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে গত ২৮ এপ্রিল মামলা দায়ের করেন, মামলা নং- (৪০)। মামলায় রাকিব সহ তার বড় ভাই, বাবাকে আসামি করা হয়।
পুলিশ রাকিব কে খোঁজে না পেলেও তার বড় ভাই এবং বাবাকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন। কিছুদিন পর তারা শর্তসাপেক্ষে জামিন বের হন। এক মাস পেরিয়ে গেলেও উদ্ধার করা যায়নি বন্ধনা রাণী এবং রাকিবকে।
আরও পড়ুন : সরকার আলেমদের মর্যাদা রক্ষা করবে: আইনমন্ত্রী
অবশেষে ভালুকা মডেল থানার এসআই নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে তাদের দু'জনকেই রাকিবের ফুফুর বাড়ি সিলেট থেকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন। দুজনেই স্বেচ্ছায় নিখোঁজ হয়েছিলেন বলে পুলিশের কাছে তারা স্বীকার করেন।
এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নজরুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, তারা দুজনেই প্রেমের টানে স্বেচ্ছায় নিখোঁজ হয়েছিলেন। মোবাইল ব্যবহার করতেন না বলে তাদেরকে খুঁজে পেতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। বন্দনা রানীকে মেডিকেল করতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (মমেক) পাঠানো হয়েছে এবং রাকিবকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন : চোখে ভেসে উঠছিল আপনার চেহারা
তিনি আরো বলেন বন্দনা রানীর কাছ থেকে দুটি ভোটার আইডি উদ্ধার করা হয়েছে যার একটিতে বয়স ১৩ বছর আরেকটিতে ১৯ বছর দেখানো। কোনটি সঠিক তা তদন্ত করেই বের করা হবে। এছাড়াও ১১ মে নেত্রকোনা জজ কোর্টে ধর্মান্তরিত হয়ে তারা দুজনে বিয়ে করেছেন এরকম দুটি স্টাম্প উদ্ধার করা হয়েছে।
সান নিউজ/এইচএন