সান নিউজ ডেস্ক: ঢাকার ধামরাইয়ে পিতা মো. বদর উদ্দিন ওরফে বুদ্দু মিয়াকে নৃশংসভাবে হত্যার এক যুগ পর কলেজপড়ুয়া ছেলে ওমর ফারুক ওরফে বাবুও খুন হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সকালে পুকুরের পানিতে ভাসমান অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া কালুশাহ ডিগ্রি কলেজের ইন্টারমিডিয়েটের প্রথম বর্ষের ছাত্র ছিল।
আরও পড়ুন: ইউনিসেফের শুভেচ্ছাদূত মিম
এর আগে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আমতা ইউনিয়নের বড়নারায়ণপুর এলাকায়। ওই কলেজছাত্র ওই গ্রামের দেওয়ান মো. রফিকুল ইসলাম মাস্টারের ভাগ্নে। এর ১২ বছর আগে ওই কলেজছাত্রের পিতা মো. বদর উদ্দিন ওরফে বুদ্দু মিয়াকেও তার নিজগ্রাম কাইটামারা এলাকায় রাতের আঁধারে নৃশংসভাবে হত্যার পর নদীর পাড়ে ফেলে রাখা হয়েছিল।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্র জানায়, বাবা খুন হওয়ার পর মামা মো. রফিকুল ইসলাম মাস্টার ভাগ্নে ওমর ফারুককে নিজের বাড়িতে নিয়ে আসেন। মামা হলেও তিনি পিতৃ স্নেহে লালন করতে থাকেন ভাগ্নে ওমর ফারুককে। পরে নিখোঁজের একদিন পর এ মরদেহটি উদ্ধার হয়। এলাকাবাসীর ধারণা, তাকে শ্বাসরোধে হত্যার পর ওই পুকুরে তার মরদেহ ফেলে রাখে অজ্ঞাতপরিচয় খুনিরা।
সূত্র জানায়, সকালে পথচারীরা ওই পুকুরের পানিতে মরদেহ ভাসতে দেখে চিৎকার করে লোকজন জড়ো করেন। সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি কাওয়ারীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্তকেন্দ্রে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মরদেহটি পুকুর থেকে ডাঙায় তোলে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহটি পুকুরে ফেলে অজ্ঞাত খুনিরা। মরদেহটি রাজধানীর হোসেন সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আরও পড়ুন: ছিটকে গেলেন শরিফুল
এ ব্যাপারে খুন হওয়া কলেজছাত্রের মামা রফিকুল ইসলাম বলেন, দিনের বেলায় ওকে না পেয়ে মনে করি রাতে অবশ্যই ফিরে আসবে। রাতেও যখন বাড়াতে আসার কোনে নাম গন্ধও নেই তখন দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করি। কিন্তু কোথাও তার সন্ধান পাইনি। সকালে মিলল তার মরদেহ। যেমন ওর বাবাকে হত্যার পর নদীর পাড়ে ফেলে রেখিছিল ঠিক তেমনি ওকে হত্যা করে পুকুরের পানিতে ফেলে রাখে অজ্ঞাত খুনিরা। ভাগ্নের নিরাপত্তার কথা ভেবে তাকে আমার কাছে এনেও আমি তাকে বাঁচাতে পারলাম না। হায়রে নিয়তি!
বিষয়টি নিশ্চিত করে কাওয়ারীপাড়া বাজার তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে আসি। এর পর কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করি। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহটি হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি মামলা হয়েছে। খুনের মোটিভ উদ্ঘাটন করে খুনিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/এমকেএইচ