টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি : কক্সবাজার টেকনাফে আলোচিত নুরুল হক ভুট্টো হত্যা মামলার ৩ আসামিকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : নিষেধাজ্ঞা তুলে নিচ্ছে ইন্দোনেশিয়া
বৃহস্পতিবার (১৯ মে) টেকনাফ সদরের কেরুনতলী এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়েছে।
আটক আসামিরা হলো টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মৌলভী পাড়া এলাকার বাসিন্দা ও হত্যাকান্ডের প্রধান আসামী একরামের ঘনিষ্ঠ সহযোগী সাইফুল ইসলাম (২০) মোঃ শাকের (২২) মোঃ রমজান আলী (২৮)।
পুলিশ জানায়, আটকদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম এজাহারভুক্ত আসামি। তবে বাকি দু’জনকে সম্পৃক্ততার অভিযোগে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন : পদ্মা সেতুর নাম পরিবর্তন হবে না
টেকনাফ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, গোপন খবরের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার রাত দুইটার দিকে টেকনাফের কেরুনতলী এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুরুল হক ভুট্টো হত্যা মামলায় তিন আসামিকে আটক করা হয়। তাদের ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে একই দিন দুপুরে ভুট্টো হত্যার বিচারের দাবিতে উপজেলা সংলগ্ন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গনে একটি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন : আসামে বন্যায় ৯ জনের প্রাণহানি
মানববন্ধনের এলাকার নারীসহ শতশত জনতা অংশ নেয়। মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা ভুট্টো হত্যার মূল আসামী মৌলভী পাড়ার শীর্ষ ইয়াবা গডফাদার একরামসহ তার সহযোগীদের গ্রেফতার পূর্বক দ্রুত শাস্তি কার্যকরের দাবি জানান।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করে ভুট্টোর মা আবেদা খাতুন (৬৫) বলেন, আমার ছেলে সন্ত্রাসীদের আক্রমণ থেকে বাঁচতে মসজিদে ঢুকেও রেহাই পাননি। একরাম বাহিনী মসজিদ থেকে বের করে এনে আমার ছেলের পা কেটে নেয়। তার উপর অমানুষিক হামলা চালায়। আমি সরকারে কাছে আমার ছেলের হত্যাকারীদের দ্রুত শাস্তি চাই।
আরও পড়ুন : বঙ্গোপসাগরে ইয়াবা পাচারকালে আটক ১০
সদর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার এনামুল হক বলেন, নুরুল হক ভুট্টো হত্যার মূলহোতা মৌলভী পাড়া এলাকার একরাম তার আধিপত্য বিস্তার করতে সন্ত্রাসী বাহিনী লালন করে পুরো এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। তারা ভুট্টোর পা কেটে তাকে হত্যা করেছে, এখনো তার কাটা পা টি উদ্ধার হয়নি।
আরও পড়ুন : আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
সন্ত্রাসী একরাম দিনদিন এলাকায় আগ্রাসী ভূমিকায় অবতীর্ণ হচ্ছে। প্রশাসনের কাছে হাতজোড় করে বিনয়ের সঙ্গে অনুরোধ করবো, আর কোন নিরীহ ব্যক্তিকে যেন ভুট্টোর মতো পরিণতি ভোগ করতে না হয়, সেজন্য একরাম বাহিনীর প্রধান একরামকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার বিকল্প নেই।
সান নিউজ/এইচএন