আমিরুল হক, নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি : নীলফামারীর সৈয়দপুরে শ্বশুড়বাড়ি থেকে আলমগীর হোসনে (৩২) নামে এক জামাতার গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : আবদুল গাফফার চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর শোক
বুধবার (১৮ মে) বিকেল ৫টার দিকে উত্তরা আবাসনের বাঙ্গালী পট্টির ২৪/৭ নম্বর বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে।
এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শাশুড়ী আবেদা খাতুন ওরফে হাইজানীসহ ৪ জনকে থানায় নিয়েছে।
নিহত আলমগীর হোসেন একই এলাকার তছিমুদ্দীনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ইজিবাইক চালক।
আরও পড়ুন : চলে গেলেন আবদুল গাফফার চৌধুরী
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিহত আলমগীর হোসেন প্রায় দশ বছর পূর্বে একই এলাকার নজরুল ইসলামের মেয়ে আতিকা পারভীনকে ভালোবেসে বিয়ে করেন। কিন্তু আলমগীরের পরিবার এ বিয়ে মেনে না নেয়ায় শ্বশুড়বাড়িতে ঘরজামাই হিসেবে বসবাস করে আসছিল।
ঘটনার দিন আলমগীর হোসেন ইজিবাইক চালিয়ে বিকেল আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে শ্বশুড়বাড়িতে আসেন। এ সময় তার স্ত্রী পেশাগত কারনে উত্তরা ইপিজেডে অবস্থান করছিল। শ্বশুড় পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা এ সময় বাড়ির বাইরে ছিলেন।
আরও পড়ুন : আসামে বন্যায় ৯ জনের প্রাণহানি
বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে শোয়ার ঘরের বিছানায় গলাকাটা অবস্থায় আলমগীরকে দেখতে পায় তার শ্বাশুড়ী। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতালে নেয়। হাসপাতালের জরুরী বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল থেকে আলমগীরের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করে।
নিহতের স্ত্রী আতিকা পারভীন বলেন, বেশ কয়েকদিন ধরে স্বামী আলমগীর ঘুমের ঘোরে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছিলেন। এ ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে তিনি মনে করেন।
আরও পড়ুন : কৃষি খাতে সর্বোচ্চ প্রণোদনা বিতরণের স্বীকৃতি পেল ইসলামী ব্যাংক
তবে নিহতের বড় ভাই আতিকুল ইসলাম আত্মহত্যার বিষয়টি সাজানো উল্লেখ করে এটিকে পরিকল্পিত হত্যাকান্ড বলে দাবি করেন।
নীলফামারীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সৈয়দপুর সার্কেল) সারোয়ার আলম জানান, মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।
তবে এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের শাশুড়ীসহ ৪ জনকে থানায় নেয়া হয়েছে।
সান নিউজ/এইচএন