আমিরুল হক, নীলফামারী : নীলফামারীর সৈয়দপুরে ড্রেন নির্মাণ কাজে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এলাকাবাসী ড্রেনের কাজ বন্ধ করে দেন এবং নিম্নমানের ইট তুলে ফেলেন। প্রতিরোধের মুখে ড্রেন নির্মানের জন্য ব্যবহৃত নিম্নমানের ইট সরিয়ে নিতে বাধ্য হলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান।
আরও পড়ুন : টাকার মান কমলো
সোমবার (১৬ মে) দুপুর ৩টার দিকে উপজেলার বোতলাগাড়ী ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের আওতায় কাছারীপাড়া ছাইয়ারমোড় এলাকায় ২১৭ ফুট বা ৬৬ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি ড্রেন নির্মান কাজ করছেন ওই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরকার জুন। প্রায় ২ লাখ টাকা বরাদ্দের এই কাজটি তিনি নিজেই করছেন।
আরও পড়ুন : ক্ষমতা চিরকাল থাকবে না
এখানে ড্রেনের সোলিংয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে নিম্নমানের ইট। সোলিংয়ের উপরে ঢালাইয়ের ক্ষেত্রে আরও খারাপ ইটের খোয়া (গিট্টি) এবং সিমেন্ট কম বালু বেশি দেওয়া হয়েছে। প্রথম দিনে কাজের প্রায় একচতুর্থাংশ সোলিং ও ঢালাই করা হয়েছে।
এ অবস্থায় ওইদিন আবারও ওই নিম্নমানের ইট ও খোয়া দিয়ে বাকি কাজ শুরু করলে এলাকাবাসী সিডিউল অনুযায়ী ভাল উপকরণ সঠিকমাত্রায় ব্যবহারের দাবী জানান। না হলে ড্রেন নির্মানের প্রয়োজন নেই বলে সাফ জানিয়ে দেয়। এর প্রেক্ষিতে ইউপি চেয়ারম্যান বাধ্য হয়ে সোলিংয়ে বিছানো নিম্নমানের ইট সরিয়ে নিয়ে ভালো ইট দিয়ে কাজ শুরু করেন।
আরও পড়ুন : শিরিন আকলেহকে হত্যায় বাংলাদেশের নিন্দা
এলাকার বাসিন্দা শাফিয়ার রহমান ও হাফিজুল ইসলাম নামে দুই যুবক জানান, মনিরুজ্জামান সরকার জুনকে আমরাই নিঃস্বার্থভাবে অর্থ ও শ্রম দিয়ে সহযোগীতা করে নির্বাচিত করেছি। অথচ তিনিই এখন আমাদের এলাকায় একটা কাজ করছেন নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে। যা এলাকাবাসীর নজরে পড়লে প্রতিবাদ করেন। এর ফলে চেয়ারম্যান সোলিংয়ের ইট বদলিয়ে দিচ্ছেন।
কিন্তু ঢালাইয়ের ক্ষেত্রে এখনও নিম্নমানের খোয়া ব্যবহার করছেন এবং বেশি করে বালু দিয়ে সিমেন্ট কম দিচ্ছেন। এতে ড্রেনের নির্মাণ কাজ অত্যন্ত দূর্বল হচ্ছে। ফলে এর স্থায়িত্ব কমে যাওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। এনিয়ে কথা বলায় চেয়ারম্যান আমাদের শাসাচ্ছেন। আমরা যে প্রত্যাশা নিয়ে তাঁকে নির্বাচিত করেছিলাম তা প্রাপ্তির সাথে কোন সমন্বয় দেখা যাচ্ছে না।
আরও পড়ুন : এসডিজি বাস্তবায়নে অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার করুন
বোতলাগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান সরকার জুন বলেন, যারা আমার ভোটে অর্থ ও শ্রম দিয়ে সহযোগিতা করেছে আজকে তারা আমার বিরোধিতা করছেন। কেন করছে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানেন না বলে জানান।
ড্রেন নির্মাণের অনিয়ম প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইট পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে। যে সামান্য বরাদ্দ তা দিয়ে এরচেয়ে ভালো উপকরণ দিয়ে কাজ করা সম্ভব নয়। তাতেও যদি লোকজন সন্তুষ্ট না হয় তাহলে আমার কিছুই করার নাই।
সান নিউজ/এইচএন