সান নিউজ ডেস্ক: বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নে কুয়েত প্রবাসী হাসানের (৩০) বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন পিরোজপুর জেলার পাড়েরহাট এলাকার জর্ডান প্রবাসী সোনিয়া (৩৪) নামের এক নারী।
আরও পড়ুন: ১১০ টাকায় টিসিবির তেল বিক্রি স্থগিত
সোনিয়ার অভিযোগ, হাসান বিয়ের আশ্বাসে ভিডিও কলের মাধ্যমে তার সর্বস্ব ভোগ করেছে। তাদের মধ্যে সামনাসামনি দেখা হয়নি তবে অনাগত সন্তানদের কথা চিন্তা করে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কথা বলে এবং জমি ক্রয়ের কথা বলে ৪ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা নিয়েছেন
গত শুক্রবার দুপুর ১২টা থেকে হাসানের বাড়িতে অবস্থান নেন সোনিয়া। হাসান উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের পশ্চিম আমড়াতলা গ্রামের আলতাফ চৌকিদারের ছেলে। দীর্ঘ পাঁচ বছর ধরে তিনি কুয়েত অবস্থান করছেন। বিয়ের দাবিতে অনশনরত সোনিয়া পিরোজপুর জেলার পাড়েরহাট ইউনিয়নের বাদুরা গ্রামের আ. সামাদ জোমাদ্দারের মেয়ে। সোনিয়া গত বছর জর্ডান থেকে দেশে ফিরেছেন।
সোনিয়া জানান, জর্ডানে থাকাকালীন সময়ে একটি প্রবাসী ফেইসবুক গ্রুপের মাধ্যমে তাদের পরিচয় হয়। এক পর্যায়ে ব্যক্তিগত মোবাইল ফোনে তাদের নিয়মিত কথা হয়। গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে হাসান ভিডিয়ো কলে অন্তরঙ্গ অবস্থায় একাধিকবার কথা বলে। সরাসরি কখনো কথা হয়নি তাদের সাথে।
তবে ভালোবাসাকে বিয়ে করে সংসার করার ইচ্ছা জানিয়ে হাসান জমি কেনার কথা বলে ৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। হঠাৎ ইদের দুই দিন পূর্বে হাসানের মোবাইল ফোন বন্ধ। অনেক চেষ্টা করেও হাসানের সাথে যোগযোগ মিলছে না। তাই বাধ্য হয়ে পরিবারের অজান্তে হাসানের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন। বিয়ে না করা পর্যন্ত তিনি এখানেই থাকবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে হাসানের সাথে যোগাযোগ করলে অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, সোনিয়ার সাথে আমার ১৫ দিনের পরিচয়। কাছাকাছি জেলা হওয়ায় আমি বিশ্বাস করে তার সাথে শুধু কথা বলেছি মাত্র। কথোপোকথনের সুযোগ নিয়ে সোনিয়া স্ক্রিনশট রাখে। এক পর্যায়ে ব্লাকমেইল করতে শুরু করে। আমি তাকে কখনো বিয়ের আশ্বাস দেইনি। আমি তাকে ইদে ৫ হাজার টাকাও দিয়েছি। তাছাড়া সে তালাকপ্রাপ্ত, আমাকে হয়রানি করতে আমার বাড়িতে অবস্থান নিয়ে বাবা-মাকে হুমকি দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: শিশুকে জিম্মি করে মা-খালাকে গণধর্ষণ
হাসানের মা ফাতিমা বেগম বলেন, বিষয়টি সত্যতা সাপেক্ষে সমাধানের জন্য আমি সোনিয়াকে তার অভিভাবক নিয়ে আসতে বলছি। কিন্তু সে কিছুতেই তার অভিবাবক নিয়ে আসছে না।
বিষয়টি নিশ্চিত করে পাথরঘাটা থানার ওসি আবুল বাশার জানান, বিয়ের দাবিতে অনশনের ঘটনা জানতে পেরে পুলিশের পক্ষ থেকে সোনিয়া নামক ঐ নারীকে আইনি সহায়তা নিতে বুঝানো হয়েছে। কিন্তু তিনি আইনি সহায়তা না নিয়ে অনধিকার অন্যের বাড়িতে অবস্থান করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করছেন।
সান নিউজ/এমকেএইচ