নিনা আফরিন,পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর গলাচিপায় চুরির অপবাদে ১৬ বছরের এক কিশোরকে গাছের সাথে শিকলে বেঁধে তিনদিন যাবত অমানবিক নির্যাতনের ঘটনায় তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন : গোপালগঞ্জে ত্রিমুখী সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৮
এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার কিশোরের মা বাদী হয়ে গলাচিপা থানায় মামলা করেছেন। মধ্যযুগীয় কায়দায় এ নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েলে টনক নড়ে প্রশাসনের। ঘটনার পর থেকে ওই কিশোর নিখোঁজ রয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে নিখোঁজ কিশোরকে এখনো তারা উদ্ধার করতে পারেনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, গলাচিপা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বোয়ালিয়া গ্রামের শাহাজাহন কমান্ডারের ছেলে মুন্নাকে ৮৫ হাজার টাকা চুরির অভিযোগে গত ৯ মে থেকে ১১ মে পর্যন্ত আটকে রেখে নির্যাতন করে চাচী,চাচাতো বোন ও ভগ্নিপতি।
আরও পড়ুন : বিএনপির ঐক্যের ডাক জনগণের সঙ্গে তামাশা
টানা তিনদিন দফায় দফায় মারধরের পর থেকে নিখোঁজ রয়েছে ওই কিশোর। ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে তানিয়া, মমতাজ, শামীমকে গতকাল ১৩ মে আটক করেছে থানা পুলিশ।
ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যায়, কিশোর মুন্নাকে একটি গাছের সাথে লোহার শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে। বোয়ালিয়া এলাকার হজরত আলী তাকে মধ্য যুগীয় কায়দায় মারধর করছেন। এ সময় আশপাশের লোকজন দাড়িয়ে বিষয়টি দেখছেন। ছবিতে মুন্নার শরীরে রক্তাক্ত জখম চিহ্ন দেখা যায়।
আরও পড়ুন : দিল্লিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় নিহত বেড়ে ২৯
মুন্নার মা হাসিনা বেগম সাংবাদিকদের জানান, ৮৫ হাজার টাকা চুরির অপবাদে মুন্নাকে ধরে নিয়ে গেছে। এ সংবাদ পেয়ে তিনি ঢাকা থেকে বাড়িতে এসেছেন।
তিনি জানান হজরত আলী, ফেরদৌস, মমতাজ এবং তানিয়া দফায় দফায় অমানবিন নির্যাতনের করেছে। এখনর তাঁর ছেলেকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবী করেন তিনি।
আরও পড়ুন : মাদকবিরোধী অভিযানে আটক ৪৯
এ বিষয়ে গলাচিপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম আর শওকত আনোয়ার জানান, নির্যাতিত কিশোরের মা হাসিনা বেগমের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। ইতমধ্যে ৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। মুন্নাকে উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।
সান নিউজ/এইচএন