বিভাষ দত্ত, ফরিদপুর: ছয় বছরের বেশি সময় পর বৃহস্পতিবার ( ১২ মে ) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। তৈরী হয়েছে বিশাল প্যান্ডেল ও মঞ্চ, শহর জুড়ে সাজ সাজ রব। পাশাপাশি চলছে সভাপতি ও সম্পাদক পদ পাওয়ার জন্য নেতৃবৃন্দের তোড়জোর আর দৌড়ঝাঁপ।
আরও পড়ুন: জুনে পদ্মা সেতু উদ্বোধনের প্রস্তুতি নিচ্ছি
তৃণমূল নেতাকর্মীদের মাঝে উজ্জীবিত ভাব দেখা যাচ্ছে। যার যার পছন্দের নেতার সমর্থনে বিলবোর্ড, পোষ্টার, ব্যানার লাগাতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শহরের রাজবাড়ী রাস্তার মোড় থেকে রাজেন্দ্র কলেজ শহর ক্যাম্পাস পর্যন্ত অসংখ্য তোড়ন নির্মাণ করা হয়েছে।
গুরুত্বপূর্ণ স্থান, সড়ক ও সড়কদ্বীপ গুলোতে নাম ও ছবি সম্বলিত ফেস্টুন লাগানো হয়েছে। ফেস্টুনের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে পদ-পদবী প্রত্যাশার কথা।
অপরদিকে পদপ্রত্যাশী নেতারা অনেকেই যাচ্ছেন কেন্দ্রীয় নেতাদের দ্বারে দ্বারে। রাজনৈতিক অঙ্গন ছাড়িয়ে হাটে বাজারে চায়ের দোকানের আড্ডা কিংবা চলতি পথের আলাপেও উঠে আসছে জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন থেকে কে হচ্ছেন সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক।
জানা গেছে, জেলার শীর্ষ দুটি পদে প্রধানমন্ত্রীর মনোনিতদেরই ঠাঁই হবে। তাই শেষ মুহূর্তে তারা প্রধানমন্ত্রীর পছন্দের তালিকায় নাম লেখাতে উদগ্রীব। একাধিক নাম শোন যাচ্ছে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদের বিপরীতে।
আরও পড়ুন: অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা
দলটির নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, জেলা আওয়ামী লীগের এই সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন কাউন্সিলের মাধ্যমেই দলের নেতৃত্ব নির্ধারিত হবার কথা থাকলেও এক্ষেত্রে দলীয় সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তেই চুড়ান্ত হবে। আগামী বছর আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল ও জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলের এ সম্মেলন আয়োজন করা হচ্ছে।
দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করে নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত রাখা এবং তৃণমূল পর্যায়ে সময় দেন, দল পরিচালনায় সাংগঠনিকভাবে অভিজ্ঞদের তারাই যেন মনোনিত হন এমনটাই দাবী করেন তৃণমূল নেতাকর্মীদের।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি তিনি যোগ্য নেতৃত্বকেই সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদে আসীন করবেন।
আরও পড়ুন: মুক্তিতে বাধা নেই সম্রাটের!
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা বলেন, সম্মেলনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সম্মেলনের জন সমাগম ১৮ থেকে ২০ হাজার হতে পারে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে সম্মেলন শেষ করতে চাই। আগামী দিনের নেতৃত্বে যারাই আসুক, আমরা প্রত্যাশা করি তারা চাঁদাবাজ হবেন না, ক্ষমতার অপব্যবহার করবেন না।
উল্লেখ্য, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৬ সালের ২২ মার্চ। ওই সম্মেলনে তৎকালীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করেন ।
সাননিউজ/এমআরএস