পটুয়াখালী প্রতিনিধি: কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ‘পটুয়াখালীর অনেক সম্ভাবনা রয়েছে কিন্তু পানি সংকট। খালগুলো ভরে গেছে, সেচের ব্যবস্থা নাই, পানি উন্নয়ন বোর্ডের স্লুইস গেটগুলো কাজ করেনা। তাই দক্ষিণাঞ্চলের কৃষির উন্নয়নে তিন চার হাজার কোটি টাকার একটি বড় প্রকল্প নেয়া হচ্ছে। এই এলাকার কৃষিতে একটি বিপ্লব নিয়ে আসব। যাতে দক্ষিণাঞ্চল বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি বড় ভুমিকা রাখতে পারে।’
আরও পড়ুন: শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ
সোমবার দুপুরে পটুয়াখালীর বদরপুরে মুগডালের মাঠ পরিদর্শন ও কৃষকের সাথে মতবিনিময় কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, “দেশকে খাদ্যে সয়ংসম্পূর্ন করতে কোন জমি যাতে আর অনাবাদি না থাকে সেজন্য কৃষি গবেষণা ইনিস্টটিউট গবেষনার মাধমে আবহাওয়া সহিষ্ণু বিভিন্ন ফসলের জাত উদ্ভাবন করছে। এসব ফসল উৎপাদনে কৃষি মন্ত্রনালয় থেকে কৃষকদেরকে সার, উন্নতমানের বীজ ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন প্রনোদনা দিয়ে সহযোগীতা করা হচ্ছে। সমতল ভুমিতে কোন কোন অঞ্চলে চাষীরা সারা বছরে তিন থেকে চারটি ফসল উৎপাদন করে। পটুয়াখালীতে আগে কৃষকেরা শুধুমাত্র ধান চাষ করত। শুকনা মৌসুমে লবনাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় এখানে অন্য কোন ফসলের চাষ করা যেতনা। কৃষি মন্ত্রনালয় এ অঞ্চলে ডাল চাষের উদ্যেগ নেয়। কৃষি গবেষণা ইনিস্টিটিউট উদ্ভাবিত বারি মুগ ৬ চাষ করে এখানকার কৃষকেরা লাভবান হচ্ছে। দেশে মোট মুগডাল উৎপাদনের শতকরা ১০ ভাগ হচ্ছে পটুয়াখালীতেই। এখানে উৎপাদিত ডাল দেশের গন্ডি পেরিয়ে জাপানে রপ্তানী হচ্ছে। এটি আরো ব্যাপক হারে ছডিয়ে দেয়া গেলে অর্থনিতিতে বিরাট পরিবর্তন আসবে। আমরা এলাকাভিত্তিক ফসল বিন্যাসের চেষ্টা করছি।”
আরও পড়ুন: বৈশ্বিক দুর্ভিক্ষের সতর্কতা
তিনি আরো বলেন, পটুয়াখালীতে কৃষি যন্ত্রের ব্যাবহার নেই কৃষকেরা যাতে এসব যন্ত্রপাতি কিনে ব্যবহার করতে পারে সেজন্য ভর্তুকীর ব্যাপারে আমরা প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করে ব্যবস্থা নেবো। এছাড়া মুগডাল মাড়াইয়ের জন্য একটি যন্ত্র উদ্ভাবন করেছে কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট এটি ভর্তুকির মাধ্যমে কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেয়া হবে।”
জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় সাংসদ কাজী কানিজ সুলতানা হেলেন, কৃষি মন্ত্রনালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ধান গবেষনা ইনিস্টিটিউটের মহাপরিচাক ড. মো. শাহজাহান কবীর, কৃষি গবেষনা ইনিস্টিটিউটের মহাপরিচাক ড. দেবাশিষ সরকার, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ভিপি আব্দুল মান্নান সহ কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও কৃষকগন উপস্থিত ছিলেন। পরে কালিকাপুর ইউনিয়নের শারিকখালীতে বোরো প্রদর্শনীর নমুনা ফসল কর্তন ও মাঠ দিবসে অংশগ্রহন করেন মন্ত্রী।
সান নিউজ/এনকে