ঝালকাঠি প্রতিনিধি: দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’র প্রভাব পরতে শুরু করেছে দক্ষিণের উপকূলীয় জেলা ঝালকাঠিতে।
সোমবার সকাল থেকে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলেও, বেলা বাড়ার সাথে সাথে শুরু হয় গুরি গুরি বৃষ্টি। বাতাসের গতিবেগ না থাকলেও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়।
সুগন্ধা, বিষখালী এবং হলতা নদীর পানি স্বাভাবিকের চেছে অনেকটা বেড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড বলছে, নদীর পানি বুদ্ধি হলেও এখন পর্যন্ত বিপদসীমা অতিক্রম করেনি।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড, ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিব হোসেন বলেন, সোমবার বিকেল পর্যন্ত সুগন্ধা নদীর পানি'র উচ্চতা ছিলো ১.১৫ মিটার।
এতে কৃষকরা রবি ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। জেলার ফসলের মাঠগুলোতে মুগ ডাল এবং বোরো ধান রয়েছে। এর মধ্যে মাঠে থাকা ৮০ ভাগ ধান কাটার উপযোগী হয়েছে বলেও জানিয়েছে কৃষি বিভাগ। বৃষ্টি ও বাতাসের প্রভাবে অনেক ক্ষেতের ধান পরে যাওয়ায় কৃষকদের লোকসান গুনতে হবে বলে অনেক কৃষক জানিয়েছেন।
ঝালকাঠি জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রাথমিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বিপদ সংকেত বাড়লে দুর্যাগ বিষয়ক সভা করে পরবর্তী প্রস্তুতি গ্রহণ করা হবে।
তবে রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্য এবং বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা ঘুর্নিঝড় কালীল দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে।
এছাড়াও পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পৌরমেয়র লিয়াকত আলী তালুকদার।
সান নিউজ/এনকে