সাজ্জাদুল আলম খান, ভালুকা (ময়মনসিংহ): ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার ৬ নং সদর ইউনিয়নে প্রতিপক্ষের হামলায় নারী বাউল শিল্পী মনি মালা সরকারসহ তিনজন গুরুতর আহত হয়েছে। একই ইউনিয়নের বাঁশিল এলাকায় বৃস্পতিবার (৬ মে) সকালে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: কিউবায় হোটেলে বিস্ফোরণ, নিহত ২২
এ ঘটনায় নুহু মিয়া (৪০) বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আহতদের ভালুকা সরকারি হাসপাতাল ও ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা তারা হলেন, শিহাব আমিন খানের ছেলে আশিক আমিন খান (২৫), মৃত নুরু মিয়া ছেলে মোহন মিয়া (৩২), মৃত দিলু মেস্তরী ছেলে সোহেল মিয়া (৩৭), মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে জাহিদ হাসান বাবু (২৫), মোঃ হেলাল মিয়ার ছেলে হারুন (৩৬), আরও অজ্ঞাতনামা ৬ থেকে ৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
স্থানীয় এবং মামলায়র বিবরণ থেকে জানা যায়, নুহু মিয়ার সাথে মামলায় উল্লেখিত অভিযুক্তদের সামাজিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে পূর্ব থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। যার পরিপ্রেক্ষিতে নুহু মিয়ার স্ত্রী মনি মালা সরকারকে (বাউল শিল্পী) বিভিন্ন সময় অভিযুক্তরা ভয়-ভীতি এবং হুমকি প্রদান করে আসছিল। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার (৫ মে) সকাল সাড়ে দশটার দিকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরাসহ অজ্ঞাতনামা ৬ থেকে ৭ জন পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হাতে চাপাতি, দা, রড, শাবলসহ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বাড়ির দিকে আসতে থাকে। এ সময় ১নং অভিযুক্ত আশিক আমিন খান নুহু মিয়ার স্ত্রী বাউল শিল্পীর নাম ধরে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজসহ হুমকি প্রদান করে। এ সময় দাঁড়াতে বলে, না দাঁড়ালে গুলি করার ভয় দেখায়। এতে ভয়ে এক পর্যায়ে মনি মালা সরকার দৌঁড়ে বাড়িতে প্রবেশ করার মুহূর্তে আশিক আমিন খান ফাঁকা গুলি করে বাড়িতে প্রবেশ করে, চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মাথার বাম পার্শ্বে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে।
আরও পড়ুন: দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৬
মামলায় অভিযুক্ত অন্যরা লোহার রড দিয়ে মনি মালা সরকারের নাক, বাম হাতের উপর সজোরে আঘাত করে ও এলোপাতাড়ি পিটিয়ে রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। এ সময় মনি মালা সরকারের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। একই সাথে বাড়িঘর ভাঙচুর করে। পরে স্থানীয়রা মনি মালা সরকারকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আঘাত গুরুতর হওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
এ ব্যাপারে মামলার বাদী নুহু মিয়া বলেন, হামলার সময় অভিযুক্ত আশিকের পিতা ও ৬ নং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিহাব আমিন খানকে বিষয়টি জানাতে তার মুঠোফোনে বারবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। বরং একপর্যায়ে তিনি ফোন বন্ধ করে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ করেন মামলার বাদী।
আরও পড়ুন: ভূতে নির্মাণ করেছে সেতু!
এ বিষয়ে ৬ নং ভালুকা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শিহাব আমিন খানের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঘটনা সঠিক না, সাজানো এবং সম্পন্ন বানোয়াট। মনি মালা সরকারের স্বামী তার স্ত্রীকে নিজেই লাথি দেয় এতে কাঁঠাল গাছের সঙ্গে আঘাত লেগে তার মাথা ফেটে যায়।
অন্যদিকে, ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ভালুকা মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আসামীদের ধরার জন্য চেষ্টা করছি, অতি শীঘ্রই আসামীদের আটক করা হবে বলেও জানান।
সান নিউজ/এমকেএইচ