নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফের বাড়তে শুরু করেছে কুড়িগ্রামে ধরলা নদীর পানি। কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্রের পানি কমতে শুরু করলেও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।
শুক্রবার (০৩ জুলাই) সকালে ধরলা নদীর পানি বিপৎসীমার ৪৫ ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ৪৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
হাজার হাজার ঘরবাড়ি এখনো ডুবে আছে বন্যার পানিতে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলার ৫৬টি ইউনিয়নের ৫৭৯টি গ্রাম বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। প্রায় ১৬ হাজার ঘরবাড়ি বন্যার পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নদী ভাঙনের শিকার হয়েছে ৫ শতাধিক পরিবার।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ৭ হাজার ৩শ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। গত দু’দিন ধরে ভারি বর্ষণের কারণে সড়ক ও বাঁধের ওপর আশ্রিত মানুষের দুর্ভোগ বৃদ্ধি পেয়েছে। শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ পানি ও গোখাদ্যের সংকট আরো প্রকট হয়েছে।
জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন, চাহিদামতো বরাদ্দ না পাওয়ায় এখনো সব বন্যার্ত মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া সম্ভব হয়নি।
উলিপুরের হাতিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আবুল হোসেন জানান, তার ইউনিয়নে ৩ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হলেও এখন পর্যন্ত প্রায় এক হাজার মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়েছে। বাকীদের জরুরি ভিত্তিতে চালের পাশাপাশি শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি সরবারহ করা দরকার।
জেলা ত্রাণ ও পূণর্বাসন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ৩০২ মে.টন চাল ও ৩৮ লাখ ৬৬ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা বিতরণের কাজ চলছে।
সান নিউজ/ আরএইচ