এহসানুল হক (ঈশ্বরগঞ্জ) প্রতিনিধি : শুধু নতুন পোশাক আর শাড়িতে বাঙালি নারীর ঈদের সাজ যেন পূর্ণ হয় না। তাই পোশাকের সঙ্গে মিলিয়ে বাহারি গহনার খোঁজে এখন ইমিটেশনের দোকানে কিশোরী, তরুণীসহ নানা বয়সী নারীদের ভিড়।
আরও পড়ুন : প্রস্তুত হচ্ছে জাতীয় ঈদগাহ
আর ঈদকে সামনে রেখে বিক্রি বাড়াতে গহনার দোকানগুলো ঝলমল করছে নানা ডিজাইন ও রঙের গহনায়।
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার পৌর বাজারের প্রতিটি দোকানেই এখন এ চিত্র লক্ষ্য করা গেছে।
“বাঙ্গালী নারী ঈদ উৎসবে শাড়ির সাথে চুড়ি,মেহেদী, নেইলপালিশ থাকবে না এটা কি মানতে পারি। শাড়ি চুড়ি ও বিভিন্ন অলংকার ছাড়া উৎসব আয়োজন একেবারেই বেমানান। ” এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন ঈশ্বরগঞ্জ বাজারের নাটাই ঘুড়ি প্রসাধনীতে কেনাকাটায় ব্যস্ত মুনা।
আরও পড়ুন : এবার ঈদের সড়ক পরিস্থিতি অতীতের চেয়ে ভালো
তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন ধরনের অলংকার, শাড়ি, চুড়িতে মানায় বাঙ্গালি নারীকে।
নাটাই ঘুড়ি প্রসাধনীতে অলংকার দেখছিলেন ছোট্ট ইকরা মনি। পোশাক তো কেনা হয়েছেই। এখন হাতে চুড়ি, কানের দুল, নাকের ফুল, পায়ের নুপুর বা পায়েল না হলে উৎসবের পুরোপুরি আনন্দ হবে না।নারী, শাড়ি ও চুড়ি এই তিনটি একে অপরের সঙ্গে যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
আরও পড়ুন : ইউক্রেনকে ৩ হাজার কোটি ডলার দিলেন বাইডেন
তাই বিশেষ কোনো উৎসব মানেই মেয়েরা চুড়ির দোকানে ছুটে যাওয়া। ঈদকে কেন্দ্র করে এমন ছোটোছুটিতে এবার হরেক রকম চুড়ি মিলছে। এর মধ্যে রঙ-বেরঙের রেশমি চুড়ি, কাটিং, ড্রিমগার্ল, তাজমহল, রিটাইল, জুনা, জয়পুরী, কলকা, বাংলালিংক, বর্ণিল কাপড় পেঁচানো সুতা-চুড়ি ও সাদামাটা লেপা চুড়িসহ মোট ১২ থেকে ১৫ ধরনের কাচের চুড়ি রয়েছে। পরিবর্তন এসেছে ডিজাইন ও রঙে। এগুলোর দাম খুব একটা বেশি নয়। মোটামুটি ডজন প্রতি ৩০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। দামে স্বল্প হলেও দেখতে কিন্তু ভারী সুন্দর।
আরও পড়ুন : পাটুরিয়া ঘাটে ফেরি পেতে দীর্ঘ অপেক্ষা
আর মাত্র কয়েকদিন। তারপরই মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব ঈদুল ফিতর। আর ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে চলছে কেনাকাটা।
ঈদ কেনাকাটা চলছে, কিন্তু গহনা থাকবে না, সেটা কি হয়! সোনা-হীরা হোক বা না হোক, অন্তত চুড়ি-নূপুর তো লাগবেই। আর এ অলংকার পোশাকের সঙ্গে মিল রেখেই যেন কিনতে চান তরুণীরা।
এবিষয়ে জানতে চাইলে নাটাই ঘুড়ির প্রসাধনীর মালিক বায়জিদ ইসলাম বিজয় জানান, নতুন পোশাকের সাথে মিল রেখে নতুন নকশার গহনা এনেছি।শুধু তরুণীরাই নয় পোশাকের সাথে মিল রেখে অলংকার রয়েছে ছোটদেরও।শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় এখন আমরা ভালো সাড়া পাচ্ছি।
আরও পড়ুন : জাতিসংঘ মহাসচিবের সফর চলাকালে কিয়েভে হামলা
তিনি আরও জানান, গৃহিনী সোনা ও রূপার তৈরি অলংকারে আগ্রহী হলেও তরুণীদের পছন্দ নানা রকম মেটাল, গোল্ড পে¬টেড, পুঁতি ও পাথরের গহনা। তবে গোল্ড পে-টেড হোক কিংবা কাঁচের হোক, অন্যসব গহনার চেয়ে চুড়ি ও কানের দুলের কদর বেশি।
অন্যদিকে ক্রেতাদের পছন্দের অপর একটি অলংকার হলো আংটি। সিঙ্গেল আংটি হালকা থেকে ভারী পাওয়া যাচ্ছে ৪৫ থেকে শুরু করে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত এবং পায়ের আংটি পাওয়া যাচ্ছে ৩৫ থেকে ১০০ টাকার মধ্যে।
আরও পড়ুন : ঢাকা ছেড়েছেন জয়শঙ্কর
আর এসব গহনা পাওয়া যাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধা মার্কেট , রাজিব সজিব কমপ্লেক্স মার্কেট, চলন,নীলাচল,রোমন প্রসাধনী, মারফত আলী কমপ্লেক্স মার্কেটসহ বিভিন্ন শপিংমলগুলোতে। তবে মার্কেট ও ডিজাইনের ভিত্তিতে দরদামের কিছুটা পার্থক্যও রয়েছে। মোট কথা শেষ মুহূর্তের কেনাকাটায় বেড়েছে গহনার কদর
সান নিউজ/এইচএন