নোয়াখালী প্রতিনিধি: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সরকারের ভালনারেবল গ্রুপ ফিডিং (ভিজিএফ) কর্মসূচির চালের কার্ড চাওয়ায় এক বিধবা বৃদ্ধ নারীকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য হায়দার হোসেন সম্রাটের বিরুদ্ধে। এ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছে প্রভাবশালী মহল।
আরও পড়ুন: আসছে ৭৫ লাখ কলেরা টিকা
ভুক্তভোগী রোকেয়া বেগম (৬০) উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মোহাম্মদ নগর গ্রামের ওয়াসি মিজি বাড়ির মৃত ইউনুসের স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল ) রাতে এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার নারী অভিযুক্ত ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এর আগে একই দিন দুপুর ২টার দিকে উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম মোহাম্মদ নগর গ্রামের ওয়াসি মিজি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগে জানা যায়, নির্যাতনের শিকার বিধাব নারী রোকেয়া বেগম অতিবৃদ্ধ চলাফেরা করতে খুবই কষ্ট হয়। তার কোন ছেলে সন্তান নেই। স্বামীর মৃত্যুর পর স্থানীয়দের সহযোগিতায় কোন রকম জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন। বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সম্রাট ওই নারীদের বাড়িতে তার অনুসারী কয়েকটি পরিবারের মাঝে সরকার প্রদত্ত ভিজিএফের চালের কার্ড বিতরণ করতে যান। কার্ড বিতরণ করার সময় মেম্বারের কাছে রোকেয়া বেগম ভিজিএফের একটি কার্ড চাইলে তিনি তাকে অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে। একপর্যায়ে বৃদ্ধ নারী তাকে গালমন্দ করতে নিষেধ করলে মেম্বার ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলের পাশে থাকা লাঠি নিয়ে ওই নারীকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করে।
রোকেয় বেমগ অভিযোগ করে আরও বলেন, এরপর তার শৌরচিৎকার শুনে বাড়ির লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। ওই সময় মেম্বার উপস্থিত লোকজনের সামনে তাকে হুমকি দিয়ে বলে এ ঘটনায় কোন বিচার বৈঠক বসালে আমাকে পুনরায় পেটানো হবে।
আরও পড়ুন: কাল সূর্যগ্রহণ
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে সিরাজপুর ইউনিয়নের ২নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হায়দার হোসেন সম্রাট অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন ভিজিএফের কার্ড চাওয়ায় বৃদ্ধ নারীকে মারধর করেনি তবে গালমন্দ করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) এসএম মিজানুর রহমান বলেন, এখন ভিজিএফ কার্ডের সময় নয়। তবে ভিজিএফের চালের কার্ড চাওয়ায় এক নারীকে মারধর করার অভিযোগ এনে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় এক নারী লিখিত অভিযোগ করেছেন।
ওসি আরও জানায়,মাটি কাটা নিয়ে কোন সমস্যা হয়েছে। একজন আরেক জনকে গালিগালাজ করেছে। মারধরের ঘটনা সত্য না। বৃদ্ধ নারীর শরীরে আঘাতের বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি জানায় অন্য কোথাও আঘাত পেয়েছে ওই নারী। বিষয়টি পুলিশ তদন্ত করে দেখছে।
সাননিউজ/এমআরএস