শওকত জামান, জামালপুর : জামালপুরের ৭ উপজেলায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর উপহার ঘর ও জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন : বিকল্প খেলার মাঠ ব্যবস্থা করা পুলিশের দায়িত্ব নয়
তৃতীয় পর্যায়ের 'ক' শ্রেণির হস্তান্তরিত প্রতিটি ঘরে নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা। ঘরের সঙ্গে প্রত্যেক উপকারভোগীর নামে দলিল করে দেওয়া হয়েছে ২ শতাংশ জমিও।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ১১ টায় সদর উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রীর ভার্চুয়ালি উদ্বোধনের পর আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘর ও জমি হস্তান্তর করেন সদর আসনের সাংসদ আলহাজ্ব ইঞ্জিনিয়ার মো. মোজাফফর হোসেন সিআইপি।
এ সময় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, ইউএনও লিটুস লরেন্স চিরান, এসিল্যান্ড তাহমিনা আক্তার, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান ছানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন : মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো ছায়াযুদ্ধে জড়িয়েছে
এছাড়া প্রত্যেক উপজেলায় একই সময়ে উপকারভোগীদের মধ্যেও জমি হস্তান্তর ও ঘর প্রদানের প্রয়োজনীয় দলিলপত্রের ফোল্ডার বিতরণ করা হয়।
জামালপুর সদর উপজেলার ৬ ইউনিয়ন দিগপাইত, শরিফপুর, শ্রীপুর, তিতপল্লা, ঘোড়াধাপ, নরুন্দি ও রশিদপুরের উপকারভোগীদের মধ্যে ৬৪ জনের ফোল্ডার হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি উপকারভোগীদের মধ্যে পর্যায়ক্রমে ঘর ও জমি হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলমান থাকবে বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন : ঘর পাওয়া মানুষের হাসি সব থেকে ভালো লাগে
প্রসঙ্গত, রবিবার (২৪ এপ্রিল) সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা প্রশাসক মুর্শেদা জামান জানান, সদর উপজেলায় ১০৯, সরিষাবাড়িতে ৩, মেলান্দহে ২৫, মাদারগঞ্জে ৩০, ইসলামপুরে ৩০, দেওয়ানগঞ্জে ২৮ ও বকশীগঞ্জে ২০ জন উপকারভোগীদের তৃতীয় পর্যায়ের প্রধানমন্ত্রীর এই উপহার দেওয়া হবে।
আরও পড়ুন : অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করার অনুরোধ
তিনি আরও জানান, প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের হস্তান্তরিত ঘরের ডিজাইন পরিবর্তন করে তৃতীয় পর্যায়ের ঘরের ব্যয় বাড়ানো হয়েছে। এবার ঘরের নির্মাণ ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৫৯ হাজার টাকা।
সান নিউজ/এইচএন