মোঃ সানাউল্লাহ, বরগুনা প্রতিনিধি : নির্বাচিত হওয়ার ২০ বছর পরও নিজেকে এখনও বরগুনার সংসদ সদস্য বলে মনে করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন : মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো ছায়াযুদ্ধে জড়িয়েছে
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) ঈদ উপহার উপলক্ষে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে বরগুনা খাজুরতলা এলাকায় সরাসরি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এ সময় তিনি বলেন, ‘বরগুনা একটি অবহেলিত জনপদ ছিল। টুঙ্গিপাড়া থেকে স্পিডবোটে বরগুনা পৌঁছে আমি সবকিছু ঘুরে ঘুরে দেখেছি। দক্ষিণাঞ্চল এখন আর পিছিয়ে থাকবে না’।
তিনি আরও বলেন, বরগুনার মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেছিল। এই কারণে আমি বরগুনার মানুষের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। ‘আমি এখনও মনে করি, আমি বরগুনার এমপি’।
আরও পড়ুন : ঘর পাওয়া মানুষের হাসি সব থেকে ভালো লাগে
ঈদ উপলক্ষ্যে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে গৃহসহ জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরগুনার ৪১১টি পরিবারকে জমিসহ ঘর হস্তান্তর করেন।
ঈদ উপহার উপলক্ষে বরগুনায় তৃতীয় ধাপে ৪১১জন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমিসহ ঘর উপহার দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বরগুনা সদর উপজেলার গৌরীচন্না ইউনিয়নের খেজুরতলা আশ্রয়নে এ ঘর হস্তান্তর করেন তিনি।
১০.৫৫ মিনিটে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরগুনার জেলাকে নিয়ে তার বক্তব্যে বলেন নির্বাচিত হওয়ার ২০ বছর পরও নিজেকে এখনও বরগুনার সংসদ সদস্য বলে মনে করেন। বরগুনা একটি অবহেলিত জনপদ ছিল। টুংগীপাড়া থেকে স্পিডবোট যোগে বরগুনা পৌঁছে আমি সবকিছু ঘুরে ঘুরে দেখেছি। দক্ষিণ অঞ্চল এখন আর পিছিয়ে থাকবে না।
আরও পড়ুন : অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করার অনুরোধ
বিনে পয়সায় ২ শতক জমিসহ ঘর পেয়ে উচ্ছ¡সিত উপকারভোগী ভূমিহীন গৃহহীনরা।
আবাসন প্রকল্পের মধ্যে উপকারভোগী একই স্থানে তৃতীয় লিঙ্গ, ভিক্ষুক ,শারীরিকভাবে অক্ষম, স্বামী পরিত্যাক্তা, হিন্দু স¤প্রদায় ও মুসলিমরা ভ্রাতৃত্ব বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে বসবাস করে এক অসাধারণ নজির স্থাপন করেছেন।
ঈদ উপহার হিসেবে মাথা গোঁজার ঠাঁই পেয়ে আনন্দিত উপকারভোগীরা। বরগুনার খাজুরতলা এলাকায় ইতিমধ্যে ৩২৯ টিঘর কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং তা হস্তান্তর করা হয়েছে ।১১.৪৫ একর জমিতে ৫শ টি আশ্রয়নের ঘর হবে যেটি হবে দেশের সর্ববৃহৎ আশ্রয়ন প্রকল্প।
আরও পড়ুন : লিবিয়ায় ২৪০ বাংলাদেশি আটক
বরগুনার ৬টি উপজেলায় প্রথম পর্যায় ২৩২ টি দ্বিতীয় পর্যায় ৭৯৩টি এবং তৃতীয় পর্যায় ৭২৫ টি ঘরের মধ্যে ৪১১ টি ঘর নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু, বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ আমিন উল আহসান, বরিশাল রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি এ কে এম এহ্সানুল্লাহ, বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর মল্লিকসহ জেলার সকল সরকারী দপ্তরের প্রধানরা।
সান নিউজ/এইচএন