সান নিউজ ডেস্ক: চাঁদপুরে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলনের ওপর রহস্যজনক হামলার ঘটনা ঘটেছে। গাড়িতে মিলন ছাড়াও তার সহধর্মিণী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের নেত্রী নাজমুন নাহার বেবি ছিলেন।
আরও পড়ুন: বিজয়ের সিনেমায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান
সোমবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কচুয়া উপজেলা সদর দক্ষিণ ইউনিয়নের বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে এ ঘটনা ঘটে। বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আয়োজিত একটি ইফতার মাহফিলে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গাড়িতে হামলার পর তারা সেখানে আর যোগ দেননি।
জানা গেছে, কচুয়া উপজেলার বদরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে স্থানীয় বিএনপি। ঠিক একই মাঠে একই দিন ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে স্থানীয় ছাত্রলীগ। একই স্থানে দুইপক্ষের ইফতার মাহফিল আয়োজন করায় পুলিশ তা বন্ধ করে দেয়। বদরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় ছাত্রলীগ ইফতার মাহফিল আয়োজন করায় বাধ্য হয়ে স্থানীয় বিএনপি তাদের ইফতার মাহফিল পার্শ্ববর্তী হোসেনপুর এলাকার এক কর্মীর বাড়িতে আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: বিএনপির অনেক কথাবার্তাই বানোয়াট
হামলার জন্য কেন্দ্রীয় বিএনপির সদস্য মালয়েশিয়া প্রবাসী মোশারফ হোসেন দায়ী করে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা ড. আ ন ম এহসানুল হক মিলন বলেন, কচুয়া আসনের এমপি ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর, কেন্দ্রীয় নেতা ড. সেলিম মাহমুদ ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম হোসেন, পৌর মেয়র নাজমুল আলম স্বপনসহ উপজেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ কেউই গাড়িতে হামলা-ভাঙচুর করেনি। মোশারফ মালয়েশিয়ায় বসে তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমার গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর চালিয়েছে। এ হামলা ও আমার গাড়ি ভাঙচুর করার জন্য তাকে জবাব দিতে হবে।
অন্যদিকে, কচুয়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মাহাবুব আলম বলেন, ওখানে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদের অনুসারীরা ইফতার মাহফিলের আয়োজন করে। মিলন বিএনপি আয়োজিত অনুষ্ঠানে বদরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ সময় কিছু ছাত্রলীগ নেতাকর্মী তার গাড়ি থামানো চেষ্টা করে। পরে তাকে ধাওয়া দেয়।
আরও পড়ুন: আসামির স্ত্রীর বটির কোপে জখম পুলিশ
এ ব্যাপারে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহিউদ্দীন বলেন, মিলন সাহেবকে ওই পথ দিয়ে অনুষ্ঠানে যেতে আমরা নিষেধ করেছি। কিন্তু তিনি ওই পথ দিয়েই গেলেন। যদিও আমরা তাকে নিরাপত্তা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এর মধ্যেই তার গাড়িতে হামলা হয়েছে। আমরা তাৎক্ষণিক হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে পারিনি।
তিনি আরও জানান, অক্ষত অবস্থায় মিলন ও তার সহধর্মিণী ঢাকায় চলে গেছেন। ফলে এলাকায় পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে মিলন-বেবীকে বহনকারী প্রাইভেটকারের কাঁচ ভাঙচুর হয়েছে।
সান নিউজ/এমকেএইচ