মো কামরুল হোসেন সুমন,স্টাফ রিপোর্টার : ভোলার মনপুরার রামনেওয়াজ লঞ্চ ঘাটে পল্টুন না থাকায় চরম দুর্ভোগ পৌহাচ্ছেন যাত্রীরা। অনেকটা ঝুঁকির মধ্যে লঞ্চে উঠা-নামা করতে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা।
আরও পড়ুন : খুলল ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের তিন ফ্লাইওভার
অন্যদিকে লঞ্চগুলো ঘাটে ভিড়তে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বন্যা নিয়ন্ত্রন বেড়ীবাঁধ। এদিকে বিআইডব্লিউটিএর ঘাট ইজারাদার প্রতিনিয়ত যাত্রী প্রতি টোলের টাকা নিয়েও কাঙ্খিত সেবা না দেওয়ায় যাত্রীদের মধ্যে ক্ষোভের অন্ত নেই।
তবে কবে নাগাদ ঘাটে পল্টুন স্থাপন করা যাবে তাও বলতে পারছেনা বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ও ঘাট ইজারাদার আবদুস সালাম।
জানা গেছে, মনপুরা সাথে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম নৌপথ। তাই এই নৌরুট দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী যাতায়াত করে। ঘাটে পল্টুন না থাকায় গত ৬ মাস ধরে দুর্ভোগে যাতায়াত করছে যাত্রীরা।
আরও পড়ুন : আমাদের বিশ্বাস ইউক্রেনই জিতবে
প্রতিদিন প্রখর রোদে বেড়ীবাঁধের উপর দাঁড়িয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। এছাড়াও যাত্রীরা ঝুঁকি নিয়ে লঞ্চে উঠতে গিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে দুর্ঘটনা। তবে বর্ষার পূর্বে ঘাটে পল্টুন স্থাপন না করলে লঞ্চে উঠা-নামা করতে আরোও বিপদে পড়বে যাত্রীরা।
লঞ্চ ঘাটে অপেক্ষামান যাত্রীরা জানান, যখন পল্টুন ছিল তখন লঞ্চে উঠা-নামা করতে দুর্ভোগে পড়তে হয়নি। কিন্তু ৬ মাস ধরে পল্টুন না থাকায় দুর্ভোগ ও বিড়ম্বনার শেষ নাই। বিশেষ করে বয়স্ক, নারী ও শিশুদের ভোগান্তির যেন শেষ নাই।
আরও পড়ুন : আমাদের বিশ্বাস ইউক্রেনই জিতবে
এছাড়াও বিআইডব্লিউটিএ সেবা না দিয়ে যাত্রী প্রতি টোল আদায় করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন লঞ্চের জন্য ঘাটে অপেক্ষামান বেশিরভাগ যাত্রী।
মনপুরা রক্ষা আন্দোলন কমিটির অন্যতম নেতা সহকারী অধ্যাপক মাহবুবুল আলম শাহীন, মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেন ও যুবলীগ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির জানান, পল্টুন না থাকায় ঘাটে লঞ্চে ভীড়তে গিয়ে বেড়ীবাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছে।
তাছাড়াও প্রতিদিন মনপুরা ঘুরতে আসা পর্যটকদের চাপ ভাড়ায় ঘাটে ভীড় বাড়ছে। কিন্তু এই নৌপথে বাড়েনি যাত্রী সেবার মান। একদিকে নিরাপদ নৌযান সংকটের অন্যদিকে পথে পথে ভোগান্তি।
আরও পড়ুন : করোনা সংক্রমণ বাড়তে পারে
এইবার ঘাটে পল্টুন না থাকায় নতুন করে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে যাত্রীদের পাশপাশি পর্যটকদের। দ্রুত ঘাটে পল্টুন স্থাপনের দাবী করেন তারা।
মনপুরা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেলিনা আকতার চৌধুরী জানান, পল্টুন না থাকায় লঞ্চগুলো সরাসরি বাঁধের উপর ভীড়ছে। এতে বাঁধ ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। রামনেওয়াজ ঘাটে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া পল্টুন পূর্বের স্থানে স্থাপনের জন্য বলা হলেও কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিচ্ছে না।
এ ব্যাপারে ভোলা বিআইডব্লিউটিএ সহকারি পরিচালক শহীদুল ইসলাম বলেন, নতুন পল্টুনটি রামনেওয়াজ ঘাট থেকে অনেক দূরে স্থাপন করায় লঞ্চগুলো নতুনঘাটে ভীড়তে সমস্যা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : বিএনপির অনেক কথাবার্তাই বানোয়াট
তাই লঞ্চগুলো পুরানো ঘাটে ভীড়ছে। পুরানোঘাটে পল্টুন স্থাপনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ন পরিচালক এস. এম আজগর জানান, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও ঘাট ইজারাদারের সাথে নিয়ে বিআইডব্লিউটিএ নতুন পল্টুনটি পুরানো ঘাটের দূরে স্থাপন করা হয়। যাত্রী দুর্ভোগের বিষয়টি কিভাবে লাঘব করা যায় তা দেখছি।
সান নিউজ/এইচএন