সান নিউজ ডেস্ক: শেরপুরের শ্রীবরদী এগারো বছরের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। সোমবার (২৫ এপ্রিল) ধর্ষণের শিকার ওই শিশুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে অভিযুক্ত এমাজ উদ্দিন পলাতক রয়েছে।
আরও পড়ুন: সেই মা-ছেলেকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ
এর আগে রোববার (২৪ এপ্রিল) রাতে ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে শ্রীবরদী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এমাজ উদ্দিন একই এলাকার সুরুজ মণ্ডলের ছেলে। এর আগে উপজেলার বকচর কন্টিপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে জনৈক আলমগীর মিয়ার বাড়িতে সেলাই করতে দেওয়া নতুন জামা আনার জন্য যায় ওই শিশু। এ সময় এমাজ উদ্দিনের বাড়ির সামনে আসা মাত্রই ওই শিশুকে কৌশলে ডেকে নিয়ে তার বাড়ির ভেতরে যায় সে। পরে নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। বাড়ি এসে মেয়েটি তার মাকে বিষয়টি জানায়।
পরে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য নানা হুমকি দেখিয়ে দেয় হয়। কিন্তু ঘটনার দুইদিন পর রবিবার রাতে ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে এমাজ উদ্দিনসহ তার চার ভাইয়ের নামে মামলা দায়ের করে। ঘটনার পর থেকেই সবাই পলাতক রয়েছে তারা।
আরও পড়ুন: আবারও ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ
ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, ‘আমার মেয়েকে ধর্ষণ করে এমাজ উদ্দিন। ধর্ষণের পরে আমার মেয়ে যখন আমার স্ত্রীকে সব খুলে বলে। পরে আমি এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন জায়গা কথা বলতে থাকলে আমাকে ও আমার পরিবারকে এই এমাজ উদ্দিন বিভিন্নভাবে হুমকি প্রদান করতে থাকে। এই ঘটনা নিয়ে সালিসের চেষ্টাও করা হয়েছে। তাই আমি বাধ্য হয়ে সঠিক বিচারের আশায় মামলা করি। এখন আপনারা বিচার করে দিবেন, আমার মেয়ের সাথে যে অন্যায়টা করলো তারা।’
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, ভিকটিমকে উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। ইতোমধ্যে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় আসামিদের ধরতে পুলিশের কয়েকটি দল অভিযান অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান তিনি।
সান নিউজ/এমকেএইচ