মো. নাজির হোসেন, মুন্সীগঞ্জ: মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ি উপজেলার বেসনাল গ্রামে খাস খতিয়ানভূক্ত সরকারি সম্পত্তি স্ট্যাম্পের মাধ্যমে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। উপজেলার কামারখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ইলিয়াস মুন্সী ওই সম্পত্তি স্ট্যাম্প করে স্থাণীয় জুলহাস মিয়ার স্ত্রী নিশাত বেগমের কাছে বিক্রি করেন।
আরও পড়ুন: নাহিদকে ঢাকা কলেজের ছাত্র ইমন কুপিয়েছে
সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, টঙ্গীবাড়ি উপজেলার দিঘীরপাড় বাজার এলাকা থেকে পদ্মা নদী হতে উৎপন্ন হয়ে পাশের কামারখাড়া ইইউনিয়নের বেশনাল গ্রাম পাশ দিয়ে বয়ে গেছে রজতরেখা নদী। পদ্মার পলি জমে রজতরেখা নদীর পাশে সৃষ্টি হয়েছে বিস্তৃণ ভূমি। ওই ভূমিতেই বসবাস করছে পদ্মা নদীর ভাঙনে বাড়িঘর হারানো কয়েকশত পরিবার। বেশনাল গ্রামের পাশে জেগে ওঠা সাড়ে ৩ শতাংশ জমি কয়েক বছর আগে দখল নেয় ইউপি সদস্য ইলিয়াস মুন্সী। পরে তিনি সম্প্রতি সম্পত্তি স্থানীয় নিশাত বেগমের নিকট একটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লিখে সাড়ে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি করেন।
সরেজমিন দেখা গেছে, বিক্রিত সম্পত্তিতে, জমি ক্রেতা নিশাত বেগমরা নতুন দু'চালা ঘর করেছেন। তৈরি হয়েছে টয়লেট। উঠনে পরে আছে নতুন কাঠ। বাড়ির আরও কাজ রয়েছে চলমান।
এ ব্যাপারে ওই জমির ক্রেতা নিশাত বেগম বলেন, আমি ইলিয়াস মেম্বারের নিকট হইতে সাড়ে ৩ শতাংশ জমি সাড়ে ৩ লক্ষ টাকা দিয়ে কিনেছি। সে আমাকে স্ট্যাম্প করে দিয়েছে। স্ট্যাম্প দেখতে চাইলে সে বলে স্ট্যাম্প আমার স্বামীর কাছে আছে।
আরও পড়ুন: ঢাকা কলেজে র্যাবের অভিযানে আটক ১
এলাকার জজ মিয়া বলেন, নদীর পারে পলি জমি জেগে উঠা জমিতে আমরা নদী ভাঙ্গা লোক দীর্ঘদিন যাবৎ বসবাস করে আসছি। আমরা গরিব মানুষ, নদী ভাঙ্গনের পর সরকার হতে এই সরকারি জমি বন্দোবস্ত নেওয়ার জন্য আবেদন করেছি। কিন্তু মেম্বার সরকারি জমি দখল করে নিশাতের কাছে ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা স্ট্যাম্প করে বিক্রি করছে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি সদস্য ইলিয়াস মুন্সী বলেন, এ জমি আমার মালিকানা জমির সাথের জমি। আমি উত্তরাধিকার সূত্রে উক্ত জমি পেয়েছি। আমার মা জমিটি বিক্রি করে টাকা মসজিদ, মাদ্রাসায় দিয়ে দিয়েছে।
আরও পড়ুন: মকবুলের থেকে ‘গুরুত্বপূর্ণ তথ্য’ পাওয়া গেছে
কামারখাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর হালদার খুকু বলেন, বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম। ইউনিয়ন পরিষদ বিষয়টি তদন্ত করে, পরবর্তী পদক্ষেপ নিবে।
টঙ্গীবাড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা তানজিন অন্তরা বলেন, সরকারি সম্পত্তি বা খাস সম্পত্তি হস্তান্তর যোগ্য নয়। কেউ যদি হস্তান্তর করে থাকে, তাহলে তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সান নিউজ/এমকেএইচ