শরীয়তপুর প্রতিনিধি: বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দিন আহমাদ বলেছেন, আল্লাহ তা'আলা রমজানের রোজাকে আমাদের ওপর ফরজ করেছেন। যাতে আমরা মুত্তাকি হতে পারি। মুত্তাকি হলো সকল ধরণের কুফরকে অস্বীকার করা। নিজের ভিতর আল্লাহ ভীতি সৃষ্টি করা। আজ মানুষের মাঝে খোদাভীতি কমে গেছে। যার কারণে সামান্য তুচ্ছ বিষয়েও মানুষে মানুষে খুনাখুনি হচ্ছে। সমাজ ও রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হচ্ছে। সুতরাং রমজানের শিক্ষা হলো নিজেদের মাঝে খোদাভীতি তৈরি করে সহমর্মিতা প্রদর্শন করা। একে অপরের সুখে-দুঃখে শরীক হওয়া।
আরও পড়ুন: বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে দোলছে কৃষকের স্বপ্ন
তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষ মহাকষ্টে দিন অতিক্রম করছে। জিনিসপত্রের দাম এখনো তেমন কমেনি। মানুষের অর্জিত আয়-ব্যয়ের সমন্বয় হচ্ছে না। সুতরাং সমাজের ধনীদের কর্তব্য গরীব ও অসহায়দের সহযোগিতায় এগিয়ে আসা।
তিনি সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক সহ আটককৃত আলেম ও ইসলামী নেতৃবৃন্দকে দ্রুত মুক্তি দিতে সরকারের প্রতি উদাত্ত আহবান জানান।
বুধবার (২০ এপ্রিল) শরীয়তপুর শহরের একটি রেস্তোরাঁয় জেলা খেলাফত মজলিশ আয়োজিত ইফতার মাহফিল পূর্বক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শরীয়তপুর জেলা খেলাফত মজলিশের সভাপতি মাওলানা শাব্বির আহমদ উসমানির সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মুফতি খবীরুদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আবদুর রব মুন্সী,উলামা পরিষদের সভাপতি মাওলানা শফিউল্লাহ খান, উসমানিয়া কওমিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাও. আবু বকর, বাংলাদেশ ফরায়েজী আন্দোলনের মহাসচিব মুফতি তোফায়েল আহমদ কাসেমী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ভিপি শেখ আব্দুস সালাম, জেলা খেলাফত মজলিশের সহ-সভাপতি মাও. হিফজুর রহমান, আ. মালেক, আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক হা. দবির হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক মুসলিম উদ্দিন, আনিসুর রহমান, আব্বাস ইবনে মোস্তফা, ছাত্র মজলিসের সভাপতি আবু হুরায়রা (শুভ) প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে পালং থানার ওসি আক্তার হোসেন সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
সাননিউজ/এমআরএস